শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১৬ ২০:১০:২৮ || আপডেট: ২০১৯-০৬-১৬ ২০:১৩:৫৮
শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি:
পার্বত্য জেলাবাসীর বহুল প্রতিক্ষিত খাগড়াছড়ির রামগড়ে চলমান বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মান এবং রামগড় স্থল বন্দর নির্মান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন, ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে মৈত্রী সেতু এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি ভারতের ৭ সদস্য দলের নেতৃত্ব দেন।
নির্মান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস আশা প্রকাশ করে বলেন, মৈত্রী সেতু ও স্থলবন্দরের মাধ্যমে দুই দেশের আন্ত: যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে ও ব্যবসা বানিজ্যের সুবিধা বাড়বে এবং যাতায়াত সহজ হবে। এ ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হবে। তবে, তিস্তাচুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
বাংলাদেশ অংশের মৈত্রীসেতু পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিত্ব করেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম, ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল তারিকুল হাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ইসরাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এম সালাউদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্র“ চৌধুরী অপু, জুয়েল চাকমা, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী প্রমূখ।
এসময়, স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সহধমির্নী মল্লিকা ত্রিপুরা, সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল হানানসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস ও ডিপুটি কমিশনার চট্টগ্রাম অনিদ্র ব্যানার্জি, ভারতের জাতীয় হাইওয়ের প্রজেক্ট প্রধান দিল ভাকসিংসহ পদস্থ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এবং রামগড় স্থল বন্দর নির্মান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে দেখেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মৈত্রী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এরপর ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর সেতুর কাজ শুরু হয়। আগামী ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণে ভারত সরকার ৮২.৫৭ কোটি রুপি ব্যয় করছে।