চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

রিফাত হত্যার প্রধান আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৯ ১৩:৫৩:৫৯ || আপডেট: ২০১৯-০৬-২৯ ১৩:৫৩:৫৯

নিউজ ডেস্ক : গত বুধবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বর্ণনায়ও ঘাতকদের নাম আসে।

বরগুনা পুলিশ লাইন এলাকার মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের মেয়ে মিন্নির সঙ্গে মাস দুয়েক আগে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামের আব্দুল হালিম দুলাল শরীফের ছেলে রিফাত শরীফের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কলেজ এলাকার সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড মিন্নিকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। রিফাত এর প্রতিবাদ করলে নয়নের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে স্ত্রীর সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন ও তার সহযোগীরা।

খুনের মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন স্থানীয় লোকজনের কাছে নয়ন বন্ড হিসেবেই পরিচিত। জেমস বন্ডের ০০৭ ছবি দেখে নিজের নামের পরে বন্ড শব্দটি যুক্ত করে। তার জীবনের কালো অধ্যায়ের শুরুটা মারামারি দিয়ে, তাও হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই সেই ঘটনার পর নয়ন একটুও দমেনি। উল্টো ওই ঘটনার পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ওই ঘটনার ঠিক এক মাস পর ১৮ আগস্ট আবারও আরেকজনকে হত্যার চেষ্টা চালায় সে। এই দুটি ঘটনায় থানায় হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর নয়নের নাম আলোচনায় উঠে আসে। রাজনৈতিক নেতাদেরও দৃষ্টি পড়ে তার ওপর।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, অস্ত্র, মাদক, চুরি আর মারামারির ঘটনায় বরগুনায় সদর থানায় নয়নের বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৭ সালেই অস্ত্র-মাদকসহ তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ওই তিনটি মামলার পর দীর্ঘ দুই বছরে আর কোনো মামলা দায়ের হয়নি। কারণ হিসেবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকার কারণে পুলিশ নয়নকে গ্রেপ্তার করেনি। তা ছাড়া ওই সময় থেকেই নয়ন পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করত বলে জানা গেছে।

বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘নয়ন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, মারামারি আর চুরির ঘটনায় আটটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নয়ন পুলিশের সোর্স নয়। তবে নয়ন যেহেতু মাদক কারবারি, তাই কারবার চালিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিতেও পারে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *