চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শফকত হোসাইন চাটগামী বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীতে দাফনের ৩ মাস পর কবর থেকে কিশোরীর লাশ উত্তোলন

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০১ ২৩:২৭:০৮ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০১ ২৩:২৭:০৮

শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী :
বাঁশখালীতে দাফনের প্রায় ৩ মাস পর কিশোরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের পর পরিবারের সদস্যরা কিশোরী রুমা আক্তারকে হত্যা করার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করার পর দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালত সিআইডিকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রী রুমা আক্তার (১৬)কে গত ৯ এপ্রিল হত্যার পর লাশ দাফনের অভিযোগে নিহতের পিতা নুরুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গতকাল (১ জুলাই) সোমবার সকালে কবর থেকে রুমা আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সি.আইডি উপ-পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান এর নেতৃত্বে কবর থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উত্তোলনকালে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আল বশিরুল ইসলাম। লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি পর লাশের ময়না তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গন্ডামারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের নুরুল আমিনের কন্যা রুমা আক্তারকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অনৈতিক মেলামেশা করে একই এলাকার তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক। এতে রুমা আকতার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ৮ এপ্রিল রাত ১০ টা থেকে ৯ এপ্রিল ভোর সকাল পর্যন্ত রুমা আক্তারকে কৌশলে ঘর থেকে বের করে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর পাশ্ববর্তী বাড়ির পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাকে জ্বীনে মেরেছে মর্মে প্রচার করে মামলার আসামিপক্ষের লোকজন দাফনের জন্য উৎসাহিত করে। পরে মূল ঘটনা জানাজানি হলে নিহত ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি সি.আইডি কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশ পেয়ে সি.আইডি তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে রুমা আক্তারের লাশ কবল থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতিক্রমে রুমা আক্তারের লাশ ময়না তদন্ত এবং ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম জেলা সিআইডি’র নেতৃত্বে রুমা আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সিআইডিকে সহযোগিতা করেন। ফরেনসিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *