প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১০ ০০:৪৯:৫৬ || আপডেট: ২০১৯-০৭-১০ ০০:৪৯:৫৬
প্রদীপ শীল, রাউজান প্রতিনিধি:
ভারী বর্ষণ ও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে রাউজানের নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত ৬ জুলাই শনিবার থেকে টানা বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ শুরু হলে সর্তার খাল ও ডাবুয়া খাল ভেঙ্গে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। ভারী বর্ষণে সর্তার ও ডাবুয়া খালে পাহাড়ি ঢলের শ্রোতের পানি বেড়ে যায়। পাহাড়ি শ্রোতের পানি সর্তার খাল ও ডাবুয়া খালে মাত্রাধিক পানি ভেরে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকার বাড়ী-ঘর রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে । সরোজমিন পরিদর্শন ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় – ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের শ্রোতে কর্ণফুলী -হালদা নদীর পানিও বেড়ে যায়। পাহাড়ি ঢলের স্রোতে খাল- নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন নিচু এলাকায় কৃষকদের ফসলী জমি, বীজতলা ও সড়ক চলাচলেরপথ পানিতে ডুবে যায়।
সর্তার খালে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতের পানিতে হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তরসর্তা, গর্জনিয়া, আমির হাট, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ফতেনগর, চিকদাইর ইউনিয়নের ইউপি ভবন, চিকদাইর দক্ষিণ সর্তা এলাকাসহ অর্ধ সহস্রাধিক পরিবারের বসত-ঘর সর্তার খালের পাড়ে হওয়ায় হুমকির মূখে পড়েছে। সর্তার খালের পাড়ে অর্ধ সহস্রাধিক পরিবারের বসত-ঘর হওয়ায় ঘুম নেই খালের পাড়ে বসবাসকারীদের লোকজনের চোখে। এই ভয়ে দিন কাটাচ্ছে সর্তার খালের পাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা । সর্তার খালের পাড়ে বসবাসকারীরা জানান, পাথরের ব্লক বসানোর মাধ্যমে খাল ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাধ নির্মান করা হলে, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে বলেও আসা করছেন বসবাসকারীরা।
ডাবুয়া ইউনিয়নের সাবেক ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাফর বলেন – প্রতিবছর সর্তা খাল কোন না কোনদিকে ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দেয়। এবছর সর্তা খাল ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা না গেলেও কিন্তু খালের পাড়ে বসবাস করার মানুষ গুলো প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে রয়েছে। কখন তাদের বসত-বাড়ীঘর খালে পানিতে ভেসে যায় ,সে চিন্তা চোখে ঘুম নেই বসবাসকারীদের।
এদিকে ভারী বর্ষণে ডাবুয়া খাল নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডাবুয়া ইউনিয়নের, পশ্চিম ডাবুয়, দক্ষিণ হিংগলা কলমপতি, কেউকদার, রামনাথ পাড়া,পুর্ব ডাবুয়া, হাসান খীলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের ফসলী জমি, বীজতলাসহ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
টানা বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জানা যায়
ভারী বর্ষণের কারণে উপজেলার সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের ৩টি নাম্বারও প্রচার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এদিকে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কেপায়েত উল্লাহ্ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে- টানা বর্ষণে পুরো এলাকাজুড়ে বন্যার পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে৷ সবাই সতর্ক থাকবেন। কোথাও কোন দূর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে নিম্নোক্ত ফোন নাম্বারে অবহিত করার জন্য থানার দু”টি ফোন নাম্বার দেয়া হয়েছে।
ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলের শ্রোতের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈয়ারী করা হচ্ছে বলেও জানান রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ।