চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

কচ্ছপিয়ায় বনে উচ্ছেদকৃত ঘর মোটা অংকের টাকায় পূননির্মাণ : সংবাদ প্রকাশের পর আইওয়াশের তদন্ত কমিটি

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০১ ২০:১৯:২৬ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০১ ২০:১৯:২৬

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ

ককসবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন রামুর বাকঁখালী রেঞ্জের কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কমলা পাড়ার বদুপাড়া এলাকায় বনবিভাগের ভুমিতে উচ্ছেদকৃত পাকাঘরটি পূর্ননির্মাণ কাজ শুরু করেছে দখলদাররা। জেলা পর্যায়ের একজন বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এ ঘর নির্মাণ করার অভিযোগের পর বনরক্ষকের দলে এ নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়টি দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকাসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ পত্রে ও অনলাইনে প্রকাশের পর ককসবাজারের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও)একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে। তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ককসবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ।
ডিএফও মাহবুব মুরশেদ এ প্রতিবেদককে জানান,সরকারী পাহাড়ে পাকাঘর নির্মাণ জঘণ্যতম অপরাধ। এর উপর বন বিভাগের উচ্ছেদকৃত পাকাঘরটি পূর্ননির্মাণ করা আরো কঠিন অপরাধ। তাই তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এটির দায়িত্ব দিয়েছেন একজন এসিএফকে। বেলায়াত হোসেন নামের এই এসিএফ আজকালে মধ্যে তদন্ত রির্পোট প্রদান করবেন।

তার পর কঠোর হস্তে দমন করবেন।
তবে স্থানীয়রা জানান,এ তদন্ত কমিটি আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। বহুল প্রচারিত একাধিক পত্রিকায় কচ্ছপিয়ার সরকারী (বনবিভাগের জমি) টিলা বেচা-কেনার বিষয়টি ফলাও ভাবে প্রকাশের পর বনবিভাগ একটু নড়েচড়ে বসেছে। আর সচেতন মহরের চোখকে ফাকিঁ দিতে এ তদন্ত কমিটি একটি আ্ইওয়াশ মাত্র।
অপর দিকে গত ২৯ জুলাই রোববার রাত ১২ টায় কচ্ছপিয়া বনবিভাগের হেড়ম্যান পরিচয়দাতা মন্জুর আলম এবং ভিলেজার নেতা শফিক আহমদ প্রকাশে বদুইয়্যা পক্ষ পাহাড় বিক্রির ঘুষের টাকা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দু দলে দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিকে এ প্রতিবেদক সহ একদল সাংবাদিক সরেজমিন তদন্তে গেলে, ঘটনার সূত্রপাতের সেই মরিয়ম টিলায় উচ্ছেদকৃত পাকাবাড়িটি মরিয়ম বেগম দাড়িয়ে থেকে র্নিমান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এই সরকারী জমিতে এমনে এমনে ঘর বাধছে না। ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েই এটির অনুমতি নিয়েছে সে।

তবে সাংবািদকদের এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন না করতে তিনি বার বার অনুরুধ জানান।
এ বিষয়ে একাধিক ভিলেজার ও সচেতন লোজজন এ প্রতিবেদককে জানান, মন্জুর আলম বনবিভাগের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। পাহাড়ি টিলা বিক্রি,বনবিভাগের জমি বিক্রি,বনের
গাছ-বাঁশ সহ বনজ সম্পদ পাচারকালে চাঁদাবাজি তার নিত্যদিনের ঘটনা। ঘটনার দিন বদু পাড়ায় বনবিভাগের এক খন্ডজমিতে বহুতল ভবন নির্মানের বিষয়ে টাকাভাগাভাগির কথা নিয়ে দ্বন্দ্বে এক পর্যায়ে মারামারি হয়।
যদিও সুযোগ পেয়ে মন্জুর আলম এ ঘটনার পূর্বেই ঘর নির্মানকারী প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম থেকে জেলা পর্যায়ের একজন বনকর্মবর্তার নাম দিয়ে অনেক টাকা খতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তখন থেকেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *