নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৫ ২১:৪৩:৪৩ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৫ ২১:৪৩:৪৩
নিউজ ডেস্ক : সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১৫ জন। বাকি ৯৫ জন বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ১০৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশাপাশি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
চমেক হাসপাতাল পরিসংখ্যান শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৫ আগস্ট) নতুনভাবে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সর্বমোট ২২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সোমবার নতুন ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন ও চমেক হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭২ জন।
বিশেষ ব্যবস্থায় ডেঙ্গু রোগীদের সেবা
শুরুতে চমেক হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগে তিনটি ওয়ার্ডে আলাদা ব্লক করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্তদের। তবে সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি এদের চিকিৎসা দিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শুধু ডেঙ্গু রোগী রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মিরসরাইয়ের বাসিন্দা মো. হাসান ১০ দিন চিকিৎসাধীন। জ্বর নিয়ে ভর্তি হলেও পরে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। শুরুতে তার অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন সুস্থতার পথে হাসান।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা নিয়মিত দেখছেন। হাসপাতাল থেকে ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ওয়ার্ডের তুলনায় পরিচ্ছন্ন।
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ন্যাশনাল গাইডলাইন মেনে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ব্লক করে চিকিৎসা দেওয়া হলেও এখন আলাদা ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক শুধু ডেঙ্গু রোগী দেখছেন। এতে সেবার গতি বাড়ার পাশাপাশি রোগীরাও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে তিনটি ব্লকে ৬০টি শয্যা ছিল। এখন সেটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ আক্রান্তের অবস্থা ভালো। কয়েকজন রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল, তবে তারা সেরে উঠেছে।’
এদিকে অসচ্ছলদের বিনামূল্যে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা এনএসওয়ান করানোর সুযোগ দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।