প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১০ ২৩:৫১:১৩ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১০ ২৩:৫১:১৩
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে ছোট বড় যেকোনো সাইজের গরু কিনতে মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে। এই নিয়ে গরু কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। পূর্ব সৈয়দবাড়ি থেকে গরু কিনতে এসেছেন মো. নাসের ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন ৩২ হাজার টাকা দিয়ে তিনি গরু কিনেছেন। তার কাছ থেকে দাবি করা হচ্ছে ১২০০ টাকা হাসিল। তাকে অগত্য ১ হাজার টাকা হাসিল দিতে হয়েছে। এদিকে গাড়ি ও জনসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে হাট বসানোর জন্য ইজারাদারদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়ার পরও তা মানা হচ্ছেনা। সড়কে হাট বসানোর ফলে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কের উপর হাটগুলো হচ্ছে পৌরসভার গোডাউন ও মরিয়ম নগর ইউনিয়নের চৌমুহনী পশুর হাট। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায়ও অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুমতি না নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা এসব হাট বসিয়েছেন বলে জানা গেছে। গোডাউন এলাকায় সড়কে যানজটে পড়া মো. জসিম নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক বলেন, “ পশুর হাট বসানোর ফলে আধ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে আধ ঘন্টা লাগছে। পশুগুলো সড়ক থেকে একটু দূরে রাখলে তো এই যানজট হতোনা। ” গোডাউন হাটের ইজারাদার সড়কের ওপর বাজার বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ সড়কে হাট বসানো হয়নি। যান চলাচলে যাতে কোনো বাধা না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। নিয়ম মাফিক হাসিল নেয়া হচ্ছে। কারো কাছ থেকে এক টাকাও বেশি নেয়া হচ্ছেনা। ”