খলিল চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১০ ২৩:৩১:০২ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১০ ২৩:৩১:০২
খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব প্রতিনিধি : প্রতি বছরের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে এই বছরের হজ্ব করতে এসেছে ১,২৭,১৫২ জন হাজীদের মধ্যে মিনা তাবুর ভিতরে এক মহিলা সহ এ পযর্ন্ত মক্কা-মদিনা ও জেদ্দা চলিত বছরে হজ্বে এসে সর্বমোট ৪৩ জন হজ্বযাত্রী মৃত্যু হয় বাংলাদেশ থেকে সবসময় বৃদ্ধ হাজী হজ্ব করতে আসেন এ বছরেও তার ব্যতিক্রম নয়। মিনা, আরাফাত ও মুজদেলিফায় হজ্ব করতে গিয়ে অনেক বৃদ্ধ হাজী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মিনা, আরাফাত ও মুজদেলিফায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ ছাড়াও বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হজযাত্রী (বক্ষব্যাধি, ডেন্টাল, নাক-কান-গলা, ইউরোলজিস্ট, এন্ড্রোক্রাইনোলজিস্ট ও অর্থোপেডিকস) রোগীর সংখ্যা প্রচুর থাকে। এ সমস্ত হাজীরা মক্কার রাস্তায় উদভ্রান্তের মতো আচরণ করেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হোটেলকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে এর আগে। আর এই সমস্ত হাজিদের সহযোগিতা ও চিকিৎসা সেবা দিতে মিনায় ও আরাফাতে মাত্র ৯ জন ডাক্তার আর ৩ জন নার্স দিয়ে এক লক্ষ্য সাতাশ হাজার হাজীর স্বাস্থ্য সেবা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা হজ্ব মেডিকেল টিম। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নির্দেশনায় মিনার মাঠে অসুস্থ বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসা দিতে ২২ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৯ জন ডাক্তার, ৩ জন নার্স, ৩ জন ব্রাদার, ৩ জন ফার্মাসিস্ট ওটি সহকারী ও ১ জন হজ সহায়ক রয়েছেন। তারা ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশ হজ মেডিকেল সেন্টারের টিম প্রধান ডা. মো. জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন। যেখানে বাংলাদেশ থেকে অসুস্থ হাজীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে ২০৭ সদস্যের মেডিকেল টিম-২০১৯ এসেছে। ৯০ জন চিকিৎসক, ৭৫ জন নার্স/ব্রাদার, ৩৪ জন ফার্মাসিস্ট ও আটজন ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট/ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। আর সেখানে মাত্র ৯ জন ডাক্তার ৩ জন নার্স, ৩ জন ব্রাদার্স ও ৩ জন ফার্মাসিস্ট ও ১জন ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট/ল্যাবরেটরি দিয়ে মেডিকেল টিম ঘোষনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেখানে ৯০ জন ডাক্তার, ৭৫ জন নার্স, ৩৪ জন ফার্মাসিট ঘোষিত হজ্ব চিকিৎসক দলের ও মেডিকেল টিম সহযোগি ২২৮ জনের মধ্যে মাত্র ২২ জন ঘোষিত টিম ছাড়া বাকীরা সবাই সেবার পরিবর্তে হজ্ব করতে ব্যাস্ত। অভিযোগ আছে, ঘোষিত মেডিকেল টিমে বিগত বছরগুলোর মতোই নীতিমালার বদলে রাজনৈতিক বিবেচনা ও তদবিরেই অধিকাংশ চিকিৎসককে নির্বাচিত করা হয়েছিল। হজ্ব চিকিৎসক দলের সদস্য হিসেবে আসতে পারলে একেকজন চিকিৎসক হজ্ব করার পাশাপাশি নগদ ৮/১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় করেন।
এ কারণে অনেকেই প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তদবির করে এমনকি নগদ টাকা উৎকোচ দিয়েও দলে যোগ দেন! গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , ঘোষিত চিকিৎসক দলে সহায়ক কর্মীদের কয়েকজন কাজ করছেন বাকিদের কথা জিজ্ঞাসা করলে কোন সঠিক উত্তর দিতে পারিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা।