জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৬ ২১:১৮:২৩ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৬ ২১:১৮:২৩
আনোয়ারা প্রতিনিধি :
আনোয়ারায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগ নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকা করেছেন। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা উঠান মাঝির ঘাট থেকে দোভাষী বাজার ঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ সড়কটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা করেন তাঁরা।
গহিরা গ্রামের লোকজন জানান,এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মৎস্যজীবী। সাগরে মাছ আহরণ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের মৎস্য আহরণ ও বাজারজাতকরণের একমাত্র মাধ্যম বেড়িবাঁধ সড়কটি।এছাড়া পুরো ইউনিয়নের হাজারো মানুষের চলাচল এ সড়ক দিয়ে। সম্প্রতি ওই বেড়িবাঁধ নতুন করে নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে বৃষ্টি-বর্ষায় বেড়িবাঁধটি কাদায় একাকার হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গ্রামবাসী নিজেরাই সড়কটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়।
উঠান মাঝির ঘাট বহদ্দার সমিতির সভাপতি মো.নাছির বলেন,বেড়িবাঁধটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়লে এলাকার বহদ্দার,মৎস্যজীবী,ব্যবসায়ীরা মিলে চাঁদা তুলে সড়কটি পাকা করণের উদ্যোগ নিই। এতে গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিরাও সহযোগিতা করেছেন।
খুইল্যা মিয়ার ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছৈয়দ নুর বলেন,ইলিশ মৌসুমে এখানকার শত শত ট্রাক মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান দেওয়া হয়। এ বছর বেড়িবাঁধটি নতুন করে নির্মাণ করায় ট্রাক চলাচল দূরের কথা ভ্যান গাড়িও চলতে পারত না। এ কারণে আমরা মাছের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতাম। সড়কটি পাকা করণের ফলে যথাসময়ে মাছ বাজারজাত করা যাচ্ছে।
রায়পুরের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাসেম জানান,গ্রামবাসীর টাকায় ইট,বালিসহ নির্মাণ সামগ্রী এনে সড়ক পাকার কাজ করা হয়। এতে এলাকার বাসিন্দারাসহ স্কুল শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করছেন।
রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন,প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকা করতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে দশ লাখ টাকা। মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় ও গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে এ কাজ করা হয়েছে।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন,গ্রামবাসীর উদ্যোগে বেড়িবাঁধ সড়কটি পাকা করণের কথা শুনেছি। গ্রামীণ এ জনপদ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও বাকি অংশে ইট বিছানো হবে। যারা এ উদ্যোগ নিয়ে সড়কটি পাকা করেছে তাদের সাধুবাদ জানাই।