চট্টগ্রাম, , রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় বেড়িবাঁধে ফের ভাঙন আতঙ্কে মানুষ

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৭ ১৮:৫৬:১৫ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৭ ১৮:৫৬:১৫

আনোয়ারা প্রতিনিধি :
বৈরি আবহাওয়ায় সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বাইগ্যার ঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধে আবারও ভাঙন ধরেছে। গত কয়েকদিনে ওই এলাকায় বেড়িবাঁধের আধা কিলোমিটার অংশ ভেঙে গেছে। বাঁধটি ১৬ ফুট চওড়া হলেও ভাঙন কবলিত অংশে এর প্রস্থ দাঁড়িয়েছে ৪-৫ ফুটের কাছাকাছি। আরেকটু ভাঙলে পুরো বাঁধই সাগরে তলিয়ে যাবে। এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন ওই এলাকার হাজারো বাসিন্দা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে,গত অর্থবছরে উপকূল সুরক্ষায় রায়পুর ইউনিয়নের বাইগ্যার ঘাট থেকে ছিপাতলী ঘাট পর্যন্ত ১৯৪২ মিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ কাজ পায় তাহের ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ বছরের জুন মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত কাজ বুঝিয়ে পায়নি পাউবো। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করেছে বলেও জানায় পাউবো কর্তৃপক্ষ।এই সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই সাগরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধের আধা কিলোমিটার অংশ ভেঙে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,বাঁধ উঁচুকরণের ক্ষেত্রে ঢালের (শ্লেপ) ২৫ ফুট দূর থেকে মাটি কাটার নিয়ম থাকলেও ১০ থেকে ১৫ ফুট দূরত্ব থেকে মাটি কাটা হয়েছে। তাছাড়া ৩০ শতাংশ বালি এবং ৭০ শতাংশ মাটি দেয়ার কথা থাকলেও এর বিপরীতে প্রায় ৭০ শতাংশই বালি দেয়া হয়েছে। এ কারণে বাঁধ বেশিদিন টিকছে না।
জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙা অংশ সংস্কার না করলে পুরো এলাকা সাগরে তলিয়ে যাবে বলে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। গহিরা গ্রামের বাসিন্দা বজলুল হক বলেন, বেড়িবাঁধটির বাইগ্যার ঘাট অংশের এই আধা কিলোমিটার সংস্কার করা খুব জরুরি। তা নাহলে ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারে যে কোনো মুুহুর্তে পুরো এলাকাটি সাগরে তলিয়ে যাবে।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা যায়,রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বাইগ্যার ঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধটির আধা কিলোমিটার ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে। ১৬ ফুট প্রস্থের বাঁধে এখন আছে মাত্র ৪-৫ ফুট। ভাঙন ঠেকাতে বাঁধের পাশে কয়েকটি রোল ব্যাগ বসানো হয়েছে।
স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন,বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত অনেক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। এই আধা কিলোমিটার অংশ সাগরের মুখে অবস্থিত। ভাঙতে ভাঙতে এটি সাগরে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। আরেকটু ভাঙলে পুরো এলাকার মানুষ জোয়ারের পানিতে ভাসবে।
চট্টগ্রাম পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলি আফাজ চৌধুরী বলেন,অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে ওই এলাকায় বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙন ধরেছে। জোয়ারের পানি যাতে লোকালয়ে ঢুকতে না পারে তার জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *