চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

লোহাগাড়ায় মহাসড়কের পার্শ্ব যেন ময়লা-আবর্জনার ডাস্টবিন

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৭ ০১:৪২:৪১ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৭ ০১:৪২:৪১

নীরব জসীম : সারাদেশে যখন এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। ঠিক তখনি লোহাগাড়া বটতলী শহরের সব ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। যা চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন ও উপজেলা পরিষদের মাত্র ১০০/২০০ মিটার দূরে। অতচ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কক্সবাজার যাতায়াত করছে। অনেক সময় বাসযাত্রীদের এই জায়গায় আসতেই হাত দিয়ে নাক চেপে ধরতে দেখা যায়। এসময় তারা বিরুপ মন্তব্য করে।
এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব ময়লা ফেলা কি উচিত???


এরকম ময়লার স্তুপ আরেকটি চোখে পড়ল আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামান্য ডানে, তাও মহাসড়কের পাশে। কলেজ গভনিংবডির সভাপতি আলহাজ্ব শফিক উদ্দিন বেশকিছুদিন আগে নিজ উদ্যোগে এসব ময়লা-আবর্জনা অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে গেলেও বর্তমানে দিন দিন এই ময়লার স্তুপ বৃহৎ হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এসব ময়লার প্রচন্ড বিশ্রি গন্ধে ধ্বম বন্ধ হয়ে আসে। এসব পচা গন্ধ অনেক সময় নানা রকম বাতাস জণিত রোগের কারণ হয়। যেমন – হাঁপানি, যক্ষা, শ্বাস-কষ্টসহ নানান রকম জটিল সব রোগ এসব গন্ধ থেকে আসে।

এছাড়াও বর্তমান সময়ের আলোচিত ডেঙ্গু রোগটিও এসব জায়গা থেকে উৎপাদিত মশার কামড় থেকে হয়। বর্তমান সরকার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে।  কোটি টাকা খরচ করে এডিস মশা মারার জন্য ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করা হচ্ছে বাড়ির আশপাশ, ঝোঁপ-ঝাড়, আঙ্গিনাসহ যেসব স্তানে মশা উৎপন্ন হতে পারে সেব স্থানে। কিন্তু এই ময়লার স্তুপের কি হবে??? প্রতিদিন বটতলী শহরের ময়লা আর্বজনা টলি নিয়ে এসে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ যাতায়তের স্থানে ফেলে ময়লার স্তুপটি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করা হচ্ছে। কারও দৃষ্টি যেন এদিকে নেই। পরিবেশ সচেতন মনে করছে, এরকম একটি জনবহুল ও যাতায়তের জায়গায় ময়লাগুলো না ফেলে অদূরে একটি নিদির্ষট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করে দিয়ে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *