নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-৩০ ০০:২১:০৯ || আপডেট: ২০১৯-০৮-৩০ ০০:২১:১৮
নিউজ ডেস্ক : বেতন দিয়ে চোর পোষেন নগরের বাকলিয়া ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল ওরফে সেলু। বিনিময়ে চুরির মালপত্র হাতিয়ে নেন তিনি। চোররা বেকার বসে থাকলে তাদের হাতখরচও দেন তিনি। ধরা পড়লে দেন আর্থিক সহায়তা।
বুধবার
রাতে নগরের কোতোয়ালি থানার দিদার মার্কেট এলাকা থেকে চোরের এ গডফাদারকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি কয়েকটি চুরির ঘটনায় গ্রেফতার চোরদের দেওয়া
জবানবন্দিতে সোহেলের নাম উঠে আসে। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার
ধন্যার ফুল আরব্যপাড়ার মৃত মোহন মিয়ার ছেলে। বাকলিয়া থানার বগারবিল
শান্তিনগর ইসলাম ভিলায় তিনি থাকেন। সোহেল নিজেকে এখনও ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করেন। ওয়ার্ডের স্থানীয় নেতারা জানান, ওয়ার্ড শ্রমিক
লীগের আগের কমিটিতে থাকলেও বর্তমান কমিটিতে তার কোনো পদ নেই।
তার
কাছ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তার বাসায়
অভিযান চালিয়ে চারটি চোরাই ল্যাপটপ, সাতটি স্বর্ণের আংটি, তিন জোড়া
স্বর্ণের কানের দুল ও দুটি স্বর্ণের গলার হার উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি
থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, কয়েকটি চুরির ঘটনার পর চোরচক্রের তিনজনকে
গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন নামে এক চোর আদালতে জবানবন্দিতে
জানিয়েছে, বাকলিয়ার সোহেল তাদের ‘বড় ভাই’। এ বড় ভাইয়ের নির্দেশেই নগরের
বাসাবাড়িতে চুরি করে তারা। আর চোরাই মালপত্র তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন
সোহেল। বিনিময়ে তাদের দেওয়া হয় হাতখরচের টাকা। আর চুরি করতে না পারলেও
নিয়মিত হাতখরচ দিত সে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আনোয়ার ছাড়াও সোহেলের পোষা চোর আছে আরও কয়েকজন। তাদের কাছ থেকে সোহেল প্রতিটি মোবাইল দুই হাজার, ল্যাপটপ তিন হাজার ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য চার হাজার টাকা করে দেয়। টানা তিন-চার দিন চুরি করতে না পারলে সোহেল তাদের বকাঝকা, এমনকি মারধরও করত। আবার চোরদের পকেটে টাকা না থাকলে মাদক সেবনের টাকাও দিত সোহেল। চুরির মালপত্র দেওয়ার পর সে টাকা কেটে রাখা হয় তাদের কাছ থেকে।’