চট্টগ্রাম, , রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

১০ ঘণ্টা চলা ধর্মঘটের পর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৮ ২৩:৪৮:০৪ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৮ ২৩:৪৮:৩৩

নিউজ ডেস্ক : ৯ দফা দাবি আদায়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হঠাৎ করে ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্যপরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ। রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে গণপরিবহন শূন্য হয়ে যায় চট্টগ্রাম নগরী। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসে যাওয়া কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে। প্রায় ১০ ঘণ্টা চলা ধর্মঘটে জনভোগান্তির পর বিকেল ৪টায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে মেয়রের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সরকারদলীয় নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু। তিনি সংগঠনটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে ৪টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের রাস্তায় গণপরিবহন নামেনি। এদিকে, ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও পুরো জেলা ও বিভাগের কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলাসহ ১৪ জেলায় বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল ব্যাহত হয়।

সার্কিট হাউসে বৈঠক শেষে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, চসিক মেয়র আমাদের দাবিগুলো দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবহিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। ১৫ দিন পর বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে মেয়র আমাদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। 

ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছেন কেন জানতে চাইলে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা ৯ দফা দাবি মানতে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের কেউ আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ কিংবা আলাপ করেনি। আমাদের ধর্মঘট প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে নয়। প্রশাসনকে আমরা চিঠি দিয়েছি, আলটিমেটাম দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের পাত্তাই দেয়নি। তাই আমরা ধর্মঘট আহ্বান করেছি। আমরা জনগণের বিপক্ষে নই।

নিজেদের দাবি আদায়ে হঠাৎ করে ডাক দেওয়া ধর্মঘটে চট্টগ্রামের ১৪ জেলার সঙ্গে কার্যত অচল হয়ে যায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজেদের দাবি আদায়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভোগান্তিতে ফেলা কখনও যৌক্তিক আন্দোলন হতে পারে না। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *