চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

বিজেপির সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১১ ২৩:৪০:৫৭ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১১ ২৩:৪১:০৮

নিউজ ডেস্ক :

ভারতের কেন্দ্রীয় সাবেক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে টানা ধর্ষণ, তা ক্যামেরাবন্দি করা এবং ব্ল্যাকমেল করার ভয়াবহ অভিযোগ এনেছেন উত্তরপ্রদেশের এক আইনের ছাত্রী।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতার প্রমাণস্বরূপ ভিডিও চিত্র একটি পেন ড্রাইভে পুলিশের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তার বন্ধু।

বুধবার সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ অনুসন্ধানকারী দলের হাতে ওই পেন ড্রাইভ তুলে দিয়েছেন নির্যাতিতার বন্ধু। নির্যাতনের শিকার তরুণীকে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

চশমায় লাগানো একটি ক্যামেরার সাহায্যে ওই তরুণী ঘটনার ভিডিও তুলে রেখেছিলেন বলে জানা গেছে। ২৩ বছরের এই ছাত্রীর অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দ তাকে এক বছর ধর্ষণ করেছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন অভিযুক্ত। তরুণীর দাবি, ভিডিও দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করতেন চিন্ময়ানন্দ।

১২ পাতার অভিযোগপত্রে তরুণী বলেন, ৭৩ বছরের চিন্ময়ানন্দের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ গত বছরের জুনে। সে সময় তিনি যে কল‌েজে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন, সেই কলেজ পরিচালনা করেন চিন্ময়ানন্দ।

চিন্ময়ানন্দ তার ফোন নম্বর নেন ও তার ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। পরে তাকে ফোন করে কলেজের লাইব্রেরিতে পাঁচ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেন। তরুণী জানান, তিনি সেই চাকরি করতে শুরু করেন কারণ তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র।

অক্টোবরে ওই তরুণীকে হোস্টেলে চলে আসার জন্য বলেন চিন্ময়ানন্দ। পরে তাকে আশ্রমে আসার আহ্বান জানান। এরপরই হোস্টেলের বাথরুমে তরুণীর স্নানের ভিডিও তাকে দেখিয়ে চিন্ময়ানন্দ হুমকি দেন সেটি ভাইরাল করে দেওয়ার। এইভাবে ভয় দেখিয়ে তিনি জোর করা শুরু করেন ওই তরুণীর ওপরে। ধর্ষণের ভিডিও তুলে রাখা হয়। পরে সেটি দেখিয়েও তাকে ব্ল্যাকমেল করেন চিন্ময়ানন্দ।

এক পর্যায়ে ওই তরুণী সিদ্ধান্ত নেন তিনিও ভিডিও তুলে রাখবেন চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে। এরপর চশমায় ক্যামেরা লাগিয়ে তিনি ভিডিও করেন। 

এনডিটিভি জানায়, গত আগস্টে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে কলেজ থেকে পালিয়ে যান আইনের এই ছাত্রী। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা ফেসবুকে ওই পোস্ট দেখেন। তার মেয়ে ও আরও অনেক মেয়েকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন তিনি।

তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রথমে নিখোঁজ তরুণীর রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেনি। তিন দিন পরে নিখোঁজ ডায়েরি লেখার পাশাপাশি অপহরণের অভিযোগও করা হয়। কিন্তু কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।

এক সপ্তাহ পর ওই তরুণীকে রাজস্থানে পাওয়া যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মেয়েটিকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন রুদ্ধদ্বার শুনানিতে তরুণীর সব অভিযোগ শোনেন শীর্ষ আদালত। গত সপ্তাহে ওই তরুণী অভিযোগ করলেও চিন্ময়ানন্দকে এখনও জেরা করা হয়নি বা তার বিরুদ্ধে চার্জও আনা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *