নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১২ ২৩:৩৬:৩০ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১২ ২৩:৩৬:৩৯
নিউজ ডেস্ক :
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের বেজমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইসির তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোখলেসুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। আমরা আজ কমিশনের সচিবের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। তদন্তে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের বিষয়টি উঠে এসেছে। আর্থিকভাবে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদশর্শন করেছি। যারা এ অগ্নিকাণ্ড নিজের চোখে দেখেছেন, বিশেষভাবে ফায়ারসার্ভিসের যে কর্মকর্তারা এখানে ছিলেন ও ইসির যারা ছিলেন তাদের সাক্ষাতকার নিয়েছি। বার বার আমরা সেখানে পরিদর্শন করে ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম কাস্টমাইজ সেন্টারে সাড়ে চার হাজার ইভিএম মেশিন সেখানে ছিল। পরবর্তীতে সেখানে যে সংখ্যক যন্ত্রপাতি ছিল সেগুলো গণনা করা হয়েছে। যেহেতু অনেক পানি দেওয়া হয়েছে, যেগুলো একেবারে ভস্মিভূত হয়েছে এবং একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলোকে আলাদা করেছি। যেগুলো ব্যবহার উপযোগী বা নষ্ট হয়নি কার্টনের ভেতরে ছিল সেগুলোকেও আলাদা করেছি। সিভিল কিছু ক্ষতি হয়েছে, উপরের কাঁচ, দেয়াল ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বিল্ডিংয়ের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
জানা গেছে, আগুনে ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট ৫৯টি, ব্যাটারি ৪৭টি, ব্যালট ৭৮৯, মনিটর এক হাজার ২৩৩ হাজার, ক্যাবল ৫৫৭ সেট, মনিটরের ব্যাটারি ৬৪টি, একটি ল্যাপটপ ও দুটি বার কোড স্ক্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, বেজমেন্টের যে কক্ষটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- কক্ষটির একাংশে বৈদ্যুতিক লাইনে স্পার্কিং হচ্ছে। বেশ কয়েকবার স্পার্কিং হয়ে আগুন ও ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সেখানে থাকা ইভিএমের ক্যাবল ও মনিটর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মেশিনগুলো আগুন নেভানোর সময় ছিটানো পানিতে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত, সিসিটিভি ফুটেজসহ সব কিছু যাচাই বাছাই করে সেটিই উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে ইভিএম কাস্টমাইজড হয়ে থাকে, সেই জায়গাটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছিল রাত ১০টা ২০মিনিটের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেরেছি ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ধোয়া দৃশ্যমান হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যারা ছিলেন তারা ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারে ফোন করেন। পার্শ্ববর্তী নিকটস্থ মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশন থেকে তারা প্রথম এখানে চলে আসেন এবং ছয়টি ইউনিট আধাঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ ১২টার আগেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। সেদিন রাতেই ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।