চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৬ ২৩:৫২:৪০ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৬ ২৩:৫২:৫৪

নিউজ ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নিহত মুক্তিযোদ্ধার জানাযার পূর্বে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গার্ড অব অনার না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিনোদপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের উদ্যোগে বিনোদপুর খাসের হাটে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় আধ-ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার তরিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংস্কৃতিক কমান্ডার মশিউর রহমান, শহীদ পরিবারের সন্তান আব্দুর রাকিব রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জিন্নুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন আহমেদ জেন্টু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহিদুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দিয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি শিকদার মোহাম্মদ মশিউর রহমান সরকারী নির্দেশকে অমান্য করেছে যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। আমরা এই ওসির বিচার দাবি করছি।

জানা যায়, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের একবরপুর গ্রামের মৃত পায়তগাম আলির ছেলে সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহারাম আলী (৬৫) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রায় দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোর ৪টার দিকে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না এলাহি রাজেউন)। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান শিবগঞ্জ থানার ওসিকে জানান। তবে সন্ধ্যার পর গার্ড অব অনার দিবেন না বলে জানান ওসি।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলাম ও পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলামে জানালে তিনি আশ্বস্ত করেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল ইসলাম। কিন্তু সন্ধ্যার পর সেনা সদস্যরা গার্ড অব অনার জানালেও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তখনো পৌঁছেনি। অবশেষে রাত ৮টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহারাম আলির লাশ পুলিশ কর্তৃক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ছাড়াই দাফন করা হয়।

দাফনের অনেক পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গার্ড অব অনার দেন। যাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *