চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

সিইউএফএল হাউজিং কলোনি সংরক্ষিত এলাকায় মাদক সেবনের আখড়া!

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-২৫ ২২:৩৬:৪৩ || আপডেট: ২০১৯-০৯-২৫ ২২:৩৬:৫১


জাহেদুল হক, আনোয়ারা :
আনোয়ারায় অবস্থিত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) আবাসিক এলাকার ভেতরে চলছে মাদক সেবনের আখড়া।সংরক্ষিত এই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে দিনে ও রাতে চলে আসছে এসব কর্মকান্ড।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সিইউএফএল আবাসিক এলাকার বেশ কিছু স্কুল-কলেজ পড়–য়া তরুণ মাদক সেবনে অভ্যস্ত। তারা বাইরের বন্ধুদের নিয়ে এসে আবাসিকের ভেতরে নিয়মিত মাদক সেবনের আখড়া গড়ছে। আবাসিকের ভেতরে ঝাড়ঝোঁপ ও পরিত্যক্ত বাসা থাকার সুযোগে মাঝে মধ্যে তারা মেয়ে বন্ধুও নিয়ে আসছে। এতে কলোনির সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আনসার সদস্য বলেন,সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশে বা অযথা ঘুরাঘুরি করতে বাধা দিলে মাদকসেবীরা তাদের নানা হুমকি দেয়। অনেক সময় তাদের মারধর করে চৌকি ত্যাগ করতে বাধ্য করে।


সরেজমিন দেখা গেছে,সংরক্ষিত এলাকার চার পাশের পুরো এলাকাজুড়ে রয়েছে সীমানাপ্রাচীর। এর প্রধান ফটকে নিরাপত্তাকর্মী আর সীমানার চৌকিগুলোতে কর্তব্যরত আছেন আনসার সদস্যরা।কলোনির দক্ষিণ পাশে ডি-১২/৮ নম্বর আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি পরিত্যক্ত বাসার কক্ষে নেশা গ্রহণের নানা উপকরণ পড়ে থাকতে দেখা যায়। একই অবস্থা কলোনির বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যালয়ের সামনেও। এ সময় সংবাদকর্মীর উপস্থিতি দেখে মাদকসেবী কিছু তরুণ স্থান ত্যাগ করে।


সিইউএফএলের কর্মচারী আবুল বশর জানান,সংরক্ষিত এলাকা হলেও তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেক সময় বিভিন্ন বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। মাদকসেবীদের তৎপরতা বেড়ে গেলেও প্রশাসনের নজর নেই বললে চলে। মাঝে মধ্যে পুলিশ এলে দুষ্ট প্রকৃতির লোকের অবাধ বিচরণ বন্ধ থাকে। পুলিশ চলে গেলেই আবার তারা উপস্থিত হয়।


বাসিন্দারা জানান,কলোনির বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যালয়,পূর্ত কার্যালয়ের সামনে,এ-টাইপ,ডি-১২/৮ আবাসিক ভবন,আনসার চৌকিগুলো,ভিআইপি আবাসিক এলাকার গোলচক্র মাদক সেবনের কেন্দ্রস্থল। প্রতিদিন দুপুর ও সন্ধ্যার পর এসব জায়গায় মাদকের আড্ডা বসে। এতে করে চুরি,ছিনতাই এমন কি নারী উত্ত্যক্তের ঘটনাও বাড়ছে।


গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে এস এম দাউদুর রহমানের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসার তালা ভেঙে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় চোরচক্র। সংরক্ষিত এলাকায় মাদকসেবীদের আড্ডা,নারী উত্ত্যক্ত ও চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দাদের দাবি,সিইউএফএল প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিলে মাদকসেবী ও দুর্বৃত্তরা কলোনিতে অবাধে দুস্কর্ম করার সাহস পেত না।


সিইউএফএলের উপ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সাহাবউদ্দিন আজাদ বলেন,এসব অপকর্মে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। আশা করছি অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *