admin
প্রকাশ: ২০১৯-১০-০২ ২৩:০৫:২১ || আপডেট: ২০১৯-১০-০২ ২৩:০৭:০৮
আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :
প্রবেশ পথ থেকে খানিকটা ভিতরে ঢুকতেই মনে হচ্ছে গভীর বনে ঢুকছি। ফুল পাখি , লতা পাতা , জীবজন্তু দিয়ে জঙ্গলের আবহ দিয়ে পুরো মন্ডপকে সাজানো হয়েছে। মন্ডপের দেয়ালে দীপ্ত বৈদ্য নামে এক তরুন রঙ তুলি দিয়ে নকশা আঁকছে। কয়েকজন তরুন মন্ডপের অন্য সাজ সজ্জার কাজ করছেন। তবে মন্ডপে এখনো প্রতিমা তোলা হয়নি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তি নিকেতন কবিরাজ ভবন পূজা মন্ডপে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এই মন্ডপের মতো উপজেলার ১৫৫ টি পূজা মন্ডপে চলছে শেষ প্রস্তুতি।
জানতে চাইলে শান্তি নিকেতন কবিরাজ ভবন পূজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমীর কান্তি দে বলেন, “ এবার আমাজান বনে দেবী দূর্গার আরাধনা থিমে মন্ডপকে সাজানো হয়। পৃথিবীর ফুসফুস নামে পরিচিত আমাজান বনে আগুন লাগে। আমাজন বনকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে এবার এই থিম বেছে নেয়া হয়েছে। মন্ডপের সাজানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে এখনো প্রতিমা তোলা হয়নি। প্রতিবারের মতো অন্য জায়গায় প্রতিমা তৈরি করে মন্ডপে তোলা হবে। এবার প্রতিমার উচ্চতা ১১ ফুট । পূজা মন্ডপের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।”
পুজার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি বিভূতি ভূষন সেন বলেন, “ রাঙ্গুনিয়ায় ১৫৫ টি পূজা মন্ডপে শুক্রবার(৪ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসব শুরু হবে। ৮ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। পূজা মন্ডপে আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। ”
থানা সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫৫ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ১৭ টি “অধিক গুরুত্বপূর্ন ও ৪০ টি “গুরুত্বপূর্ন ” ধরে তালিকা করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুব মিল্কি বলেন, “ পূজায় আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবে পুলিশ। উপজেলার অধিক গুরুত্বপূর্ন ও গুরুত্বপূর্ন পূজা মন্ডপে বিশেষ নজরদারি থাকবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “ পূজা পরিষদ নেতা ও সংম্লিষ্টদের নিয়ে প্রস্তুতি মূলক বৈঠক করেছি। সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে নির্বিঘেœ পূজা উদ্যাপন করতে পারে সেজন্য পূজা চলাকালীন প্রশাসন তৎপর থাকবে।”