চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin

চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশ: ২০১৯-১০-০৩ ০০:১৫:৩০ || আপডেট: ২০১৯-১০-০৩ ০০:১৫:৩৯


চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :

চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে প্রভাবশালী মহলটি স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যে কোন মুহুর্তে দখলের ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।


এদিকে এ জমি জবর দখল করে বাড়ি নির্মাণের ঘটনায় ভূক্তভোগী চকরিয়া পৌরএলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দা টিটু কুমার দাশ বাদী হয়ে একই এলাকার অমলেন্দু বসাকের ছেলে হিমাংশু বসাকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) কক্সবাজার এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে একটি এম,আর মামলা (নং-৯৭৪/২০১৯) দায়ের করেন। আদালত এসি ল্যান্ড চকরিয়াকে বিরোধীয় জায়গার সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিরোধীয় জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।


ভূক্তভোগী ও মামলার বাদী টিটু কুমার দাশ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ০৯/১৬/১৯৯২ তাং ২৮২৭ নম্বর রেজিঃযুক্ত কবলা মূলে আমার মাতা মিতালী রানী দাশ চিরিংগা মৌজার বিএস ২৮৩ নম্বর খতিয়ানের অংশিদার একই এলাকার সারদা কিশোর দাশের ছেলে বীরেন্দ্র লাল দাশ থেকে ৫ শতক এবং ০৮/১১/১৯৯৩ তারিখে ৪৬০৩ নং রেজিঃযুক্ত কবলা মুলে একই খতিয়ানের অপর অংশিদার মনিন্দ্র লাল দাশের ছেলে রতন কান্তি দাশ থেকে ৬ শতকসহ মোট ১১শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত ওইসব জমি আমার মা মিতালী রাণী দাশের নামে বিএস খতিয়ানভূক্তও হয়।

ভূক্তভোগী টিটু কুমার দাশ আরও বলেন, আমার মায়ের নামীয় ওই সম্পত্তি থেকে তিনি গত ১৩/০৫/২০১২ তাং ৩৪৮৫ নম্বর রেজিঃযুক্ত কবলা মূলে আমি ও আমার ভ্রাতা রনজিত কুমার দাশকে ২ শতক জমি হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ওই জমি আমরা ৭ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে আছি। টিটু কুমার দাশ বলেন, খতিয়ানের কোন ধরণের অংশিদার না হয়েও একই এলাকার অমলেন্দু বসাকের ছেলে হিমাংশু বসাক, শিবু প্রসাদ দাশের স্ত্রী সুজিতা দাশ (বাপ্পী) ও হিমাংশু বসাকের স্ত্রী মঞ্জু রাণী বসাক দূর্লোভের বশীভুত হয়ে আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গত ২২/০৯/২০১৯ তাং আমাদের ভোগ দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করিয়া জবর দখলের চেষ্ঠা চালায়।

পরে স্থানীয় লোকজনের বাঁধার মুখে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। দখলকারীরা আবারো স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালালে আমি গত ২৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) কক্সবাজার এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে একটি এম,আর মামলা (নং-৯৭৪/২০১৯ দায়ের করি। আদালত এসিল্যান্ড চকরিয়াকে বিরোধীয় জায়গা সরেজমিন তদন্ত পূর্বক মতামতসহ দেয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি ওই জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখে। ফলে যে কোন মুহুর্তে জমি মালিক ও জবর দখলকারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।


চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাবিবুর রহমান বলেন, চকরিয়া পৌরসভার হিন্দুপাড়া এলাকায় জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে আদালতের কোন নির্দেশনা এখনো হাতে পাইনি। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *