মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১০-০৮ ১৯:২৩:৪০ || আপডেট: ২০১৯-১০-০৮ ১৯:২৩:৪৮
মেঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উৎসাহ উদ্দীপনায় মধ্যদিয়ে শেষ হল শারদীয় দূর্গোসৎসব। উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে, বাইশারী এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে এই দূর্গোৎসব এক সাথে শুরু হয়ে গত শুক্রবার।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিমা বিসর্জনে মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
এ উৎসবকে ঘিরে মন্ডপসহ সনাতনী পল্লী গুলো সেজেছিল সাজ সাজ রবে। পুজা মন্ডপে প্রতিদিনই অসংখ্য ভক্ত পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের ছিল ভীড়। নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় হরি মন্দির এলাকায়। গত রবিবার দুর্গাপূজার অষ্টমী উপলক্ষে সকাল থেকে চলে পুজা অর্চনা ও অঞ্জলি প্রদান ও ধর্মীয় প্রার্থনা এবং পুতিপাঠ।
নাইক্ষ্যংছড়ি হরি মন্দির শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি বৃষ্ণ কুমার দাশ ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ পাল জানিয়েছেন- প্রতি ববছরের ন্যায় এবছরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারছেন তারা। এজন্য পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রীসহ জেলা-উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান হিন্দু ধর্মীয় নেতারা।
নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মতিলাল সূত্র ধর ও সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার দাশ জানান-নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ ও নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি উপজেলা পূজামন্ডপ গুলো পরিদর্শণ করেছেন এবং সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান পুলিশ উপজেলার প্রতিটি পুজা মন্ডপে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় জোরদার ছিল।
মন্ডপ পরিদর্শন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউলাহ বলেন,সম্প্রীতির এই নাইক্ষ্যংছড়ি পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুরের নেতৃত্ব সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছেন। অপদিকে নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতিটি পাড়া মহলায় উন্নয়ন কাজ চলছে। এসময় তিনি এলাকার সকল ধর্মের মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে মড়েল নাইক্ষ্যংছড়ি গড়তে সহযোগিতা কামনা করেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ দূর্গোৎসব নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীয় হরি মন্দির,বাইশারী ও ঘুমধুমে অশান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হয়ছে। প্রতি বছরের মতো এবারো দশমী পুজা পালনের মধ্য দিয়ে সনাতনী ধর্মের মানুষের মাঝে তাদের এই প্রধান শারদীয় দুর্গোৎসব নাইক্ষ্যংছড়িতে সমাপ্তি হয়।