চট্টগ্রাম, , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদে চৌকিদার নিয়োগে চরম অনিয়ম

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৩ ২২:২০:১১ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৩ ২২:২০:১৮

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদে চৌকিদার নিয়োগে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অবসরে যাওয়া দুই চৌকিদারকে বিনা পারিশ্রমিকে খাটিয়ে তাদের পোষ্যদের নিয়োগ না দিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় পরিষদের চেয়ারম্যানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্যগণ ও পরিষদে কর্মরত চৌকিদারগণ কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যব¯’া নেওয়ার জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়নের পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মো: ইউনুছ ও ৭নং ওয়ার্ডের চৌকিদার দেলোয়ার হোসেনের অবসর জনিত কারণে দুইটি পদ শুন্য হয়। অবসরে গেলেও চৌকিদারের দুটি পদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি চৌকিদারের শুন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বরইতলী ইউনিয়নে প্রচার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১নং ও ৭নং ওয়ার্ড থেকে ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে অবসরে যাওয়া চৌকিদার মো: ইউনুছের পুত্র নুরুল আবছার (২৩) ও দেলোয়ার হোসেনের পুত্র শহীদুল্লাহ (২২) আবেদন করেন। পোষ্য হিসাবে দুই চৌকিদারের পুত্রদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে অবসরে যাওয়া দ্জুনকে দুই বছর ধরে পরিষদের বিভিন্ন কাজে খাটিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার। পরে উৎকোচের বিনিময়ে নুরউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়োগ প্রদান করেন। তাদের নিয়োগের খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

বরইতলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুস শুক্কুর বলেন, সকল যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও দুই চৌকিদার পুত্রদের নিয়োগ না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছেমত নিয়োগ কমিটিকে প্রভাবিত করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত দুইব্যক্তিকে নিয়োগ দেন। এতে পরিষদের সদস্য ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোষ্যদের নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি তার ব্যতয় ঘটিয়ে নিজের পছন্দের লোককে নিয়োগ দিয়েছেন। একই কথা বললেন বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা মেম্বার খালেদা আক্তার। অবসরে যাওয়া দুই চৌকিদারকে খাটিয়েছেন। কিন্তু‘ তাদের পোষ্যদের নিয়োগ না দিয়ে বিতর্কিত লোকদের চৌকিদার পদে নিয়োগ দিয়ে চরম অমানবিক কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসী গত শুক্রবার এবিষয়ে চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য জাফর আলমের কাছে অভিযোগ দিলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সুষ্ট তদন্তপূর্বক চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

এবিষয়ে জালাল আহমদ সিকদারে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবসরজনিত কারণে দুটি চৌকিদারের পদ শুন্য হলে নিয়ম মেনে চৌকিদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ওইসব পদে অনিয়ম করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *