চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin

মিয়ানমার থেকে ১৩ দিনে ৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৪ ০০:১৭:৫৫ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৪ ০০:১৮:০১

আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমার থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশের পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করতে আমদানিকারকরা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আসায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আমদানিকারকদের অভিযোগ, বন্দর শ্রমিক অব্যবস্থাপনায় পেঁয়াজ খালাসে বিলম্ব হওয়ায় ট্রলারে পঁচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। যে কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থলবন্দর কাস্টমস্ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দরে ৭৬০ দশমিক ৫৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত ১ অক্টোবর থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত ১৩ দিনে ৭ হাজার দশমিক ৪৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ৩ হাজার ৬৫৭ মেট্রিক টন।

স্থলবন্দর পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি আরো বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতেও আমরা নিজেদের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে আগামীতেও পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

এদিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় স্থানীয় পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন আগের চেয়ে কমেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সব্বোর্চ ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করেছিল। গতকাল টেকনাফ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তবে একদিন আগে আরো ৫ টাকা কমে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছিল বলে জানান।

স্থলবন্দর পেঁয়াজ আমদানিকারকদের অভিযোগ, বন্দরে শ্রমিক অব্যবস্থাপনা ও জেটির অভাবে মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজ খালাসের আগেই ট্রলারে পঁচে যাচ্ছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানীকে গুরুত্ব দিলেও টেকনাফ স্থল বন্দরে পচনশীল এই পণ্য পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাসে যে ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার কোনটিই নেই। পর্যাপ্ত জেটি ও শ্রমিকের অভাবে মূলত ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বন্দরে নোঙ্গর করার দুই-তিন দিন পেরিয়ে গেলেও ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাস করা যাচ্ছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রলার থেকে পেঁয়াজ খালাসে বিলম্বের কারণে পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় তারা বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছেন। এ কারণে পেঁয়াজের মূল্য বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন তারা।

টেকনাফ স্থল বন্দর কতৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট এর ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জেটি ও শ্রমিক সংকটের কথা অস্বীকার করে জানান, বন্দরে কোন ধরনের শ্রমিক সংকট নেই। দু’টি জেটি দিয়ে দ্রæত সময়ে পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *