চট্টগ্রাম, , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

খালেদ হোসেন টাপু রামু(কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রয়াত পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরকে দেখতে রামুতে ভারতীয় সংঘরাজ রতনজ্যোতি মহাথের

প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৭ ২০:১২:৪২ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৭ ২০:১২:৫০

খালেদ হোসেন টাপু, রামু :
একুশে পদকে ভূষিত, উপ-সংঘরাজ, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ, প্রয়াত পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁকে এক পলক দেখতে সূদুর ভারত থেকে রামুতে ছুটে এসেছেন ভারতীয় বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু সংঘরাজ শিল্পাচার্য ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে সীমা বিহারে পৌঁছেন এবং সন্ধ্যে পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। রামুতে পৌঁছেই প্রথমে তিনি ভিক্ষুসংঘদের সাথে নিয়ে প্রয়াত সত্যপ্রিয় মহাথের’র মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এর আগে ভারতীয় বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয়গুরু শিল্পাচার্য ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে পৌঁছালে বিহারের পক্ষ থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বৌদ্ধভিক্ষু ও বিহার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে বিকালে তিনি বিহার প্রাঙ্গনে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ সভায় অংশ নেন।

ভারতীয় সংঘরাজ শিল্পাচার্য ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনিত্য সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন ভারতীয় সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, চট্রগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত প্রিয়রতœ মহাথের, পুটিবিলা মহাবোধি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তাপসজ্যোতি থের, কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুকোমল বড়ুয়া, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের সাধারণ সম্পাদক রাজু বড়ুয়া, মহীরাজ বড়ুয়া, অনুপম বড়ুয়া ও বিপুল বড়ুয়া প্রমূখ।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভারতীয় সংঘরাজ রতনজ্যোতি মহাথের বলেন, প্রয়াত সত্যপ্রিয় মহাথের’র অন্তর্ধানে ভারত-বাংলা উপমহাদেশের বৌদ্ধ সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে খুব মর্মাহত হয়েছি। এই পুণ্যপুরুষের প্রয়াণে আপনাদের মত ভারতীয় ভিক্ষুসংঘ এবং বৌদ্ধ সমাজও গভীরভাবে মর্মাহত এবং ব্যথিত।

তিনি আরও বলেন, আমি শুধুমাত্র তাঁকে এক পলক দেখার জন্য এবং শ্রদ্ধা জানাতে এই বয়সে এখানে ছুটে এসেছি। তিনি আমাদের সকলের কল্যাণমিত্র এবং পথপ্রদর্শক ছিলেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

স্মৃতিচারণ সভা শেষে পরে সন্ধ্যায় তিনি কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার ত্যাগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *