admin
প্রকাশ: ২০১৯-১১-০৭ ২৩:৩২:৪০ || আপডেট: ২০১৯-১১-০৭ ২৩:৩২:৫১
আবদুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে দুই ঘন্টা পন্য উঠা নামা বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। যার ফলে জাহাজ ও ট্রলার থেকে পেয়াঁজ খালাসে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। এ কারনে সন্ধার পরও বন্দরে পেয়াঁজের খালাস ও লোডিং কাযক্রম চলছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
এদিকে টেকনাফ স্থল বন্দরে শ্রমিকদের জন্য খাবারের নেই কোন কেন্টিন, বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেট ব্যবস্থা না থাকায় তারা দুই ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করেন। তাদের দাবী পূরনের আশ্বাসে পরবতীতে কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা এমনটি জানিয়েছেন টেকনাফ স্থল বন্দর শ্রমিক মো: আলম।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে টেকনাফ স্থল বন্দরে শ্রমিকরা কাজের ফাকে কিছু খেতে না পেরে পুনরায় কাজে ফিরে যায়নি। এতে শ্রমিকরা খাদ্য অভাবে ক্ষুধার যন্ত্রনায় ভোগছিল। এসময় শ্রমিকরা বন্দরের সামনে জড়ো হয়ে কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবতীতে বন্দর কতৃপক্ষের আশ্বাসে
প্রায় দুই ঘন্টা পর বিকাল ৩ টার দিকে শ্রমিকরােআবার কাজে যোগ দেয়। এর পর পেয়াঁজ খালাস আবার শুরু হয়। এ কারনে সন্ধার পরও ট্রাকে পেয়াঁজ লোডিং করা হচেছ।
মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন টেকনাফ স্থল বন্দরে হাজারো মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানী হচেছ। তবে আগের তুলনায় সেদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও স্থানীয় বাজারে পেয়াঁজের দাম সহনীয় পযায়ে আসছেনা। বতমানে পেয়াঁজের ব্যবস্যা লাভজনক দেখে ব্যবসায়ীরা সেদিকে ঝুকছেন। পেয়াঁজ আমদানীতে রাজস্ব মওকূপ করায় আগের তুলনায় রাজস্বও কম আদায় হচেছ বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
শুল্ক বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক দিনে বন্দরে পেয়াঁজ খালাস হয় ১ হাজার ৮১৬ দশমিক ৪২৮ মেট্রিক টন। নভেম্বর মাসের সাত দিনে পেয়াঁজ খালাস হয় ৭ হাজার ৩৭৫ দশমিক ৩৯৯ মেট্রিকটন। এছাড়া গত অক্টোবর মাসে খালাস হয় ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন। এর আগের সেপ্টেম্বর মাসে খালাস হয় ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেঃ টন পিয়াঁজ। আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ টন।
ব্যবসায়ীরা জানায়, গত বুধবার টেকনাফ স্থল বন্দরের সামনে থাকা অবৈধ ঝুপড়ি ঘর উচেছদ করে স্থানীয় প্রশাসন। যার ফলে কাজে আসা শ্রমিকরা খাদ্য অভাবে পড়েন। ফলে শ্রমিকরা দুই ঘন্টা পন্য উঠানামা বন্ধ রাখেন। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মূখীন হতে হয়েছে।
এছাড়া বন্দরে পযাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাবে পেয়াঁজ যথা সময়ে খালাস করা সম্ভব হচেছনা বলে অভিযোগেও রয়েছে। তবে দেশের সংকট মোকাবেলায় মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ আমদানী করা হচেছ। আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পর চট্টগ্রামে পাঠানো হচেছ। সেখান থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো: আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে যতেষ্ট পরিমান পেয়াঁজ আমদানী হচেছ। নভেম্বরের সাত দিনে ৭৩৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ বন্দরের কার্যক্রম শেষে দ্রুত বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচেছ।
তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসেও পিয়াঁজ আমদানি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ আমদানী করে যাচেছন। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবেলায় পিয়াঁজ আমদানীতে উৎসাহিত করা হচেছ।