চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

admin

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রচেষ্টা চলছে : জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৭ ১২:১১:২৩ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৭ ১২:১১:৩১


আবদুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
আমাদের প্রচেষ্টা চলছে, কিভাবে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুকরা যায়। কিন্তু আন্তজার্তিকভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। সেদেশে নির্যাতনের মুখে পরে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ, বিশ্বের কাছে একটি বিরল সৃষ্টি করছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের মানুষ। এইটি হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। এটি শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

২৬ (নভেম্বর) দুপুরে টেনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী স্থানীয় জনগণের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্যে রাখেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাই কমিশনার কেলি টি ক্লিমেটস, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। সভা পরিচালনা করেন ওয়াল্ড ভিশনের সেক্টর লীড রাইয়ান বেলাজু ও কো-অর্ডিটের তৃষ্ণা দাজেল প্রমুখ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর অর্থায়নে ওয়াল্ড ভিশন প্রতিজন বয়স্ককে ৬ হাজার, ও প্রতিবন্ধীকে ৮ হাজার ৪০০ টাকা করে মোট ৫০০জনকে এক বছরের নগদ টাকা বিতরন করেন। এইভাবে দেড় হাজার স্থানীয় জনগোষ্টীকে সহাতায় দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন,রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয়জনগোষ্টী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। ফলে সরকার স্থানীয় জনগোষ্টীকে বিভিন্ন মাধ্যমে সহতায় দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে এইটি একটি। রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি তৈরী করেছে মিয়ানমার, তাদের এইটা সমাধান করতে হবে। তবে যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবেনা, ততদিন স্থানীয়রা তাদের মানবিকতা দেখিয়ে যাবে
তিনি বলেন, এইটা সত্য যে কিছু এনজিও সংস্থা বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া সরকার তাদের কঠোর নজরদারিতে রেখেছে।

ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাই কমিশনার কেলি টি ক্লিমেটস বলেন,আগের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। বিপুল সংখ্যা রোহিঙ্গাদের সহতায় দেওয়ার এই অঞ্চলে মানুষকে ধন্যবাদ জানায়। অনেক আনন্দিত লাগছে স্থানীয়দের সহতায় দিতে পেরে। এইভাবে ১৭ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অর্থ সহতায় দেওয়া হবে।’এর আগে তিনি নয়াপাড়া মৌচনি ক্যা¤প সংলগ্ন রোহিঙ্গাদের গ্যাস বিতরন কেন্দ্র, হ্নীলার মৌচনী আর্দশ বিদ্যাপীঠ ও শালবন রোহিঙ্গা ক্যা¤প ঘুরে দেখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *