চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin

টেকনাফে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৮ ১৮:৩০:২০ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৮ ১৮:৩০:২৮

আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :

টেকনাফে আমন ধানের বা¤পার ফলন হয়েছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত টেকনাফ উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১টি পৌরসভা এবং ৬টি ইউনিয়ন মিলে ১০ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে ধানের বা¤পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। পাহাড় ও নদী বেষ্টিত টেকনাফের পল্লী এলাকায় বিভিন্ন স্থানে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আমন ধান কাটার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে আমন উৎসব।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সূ্েএ জানা যায়, এবারে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে ১ হাজার হেক্টর, বাহারছড়া ইউনিয়নে ১ হাজার হেক্টর, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ১ হাজার ১৩০ হেক্টর, হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর, হ্নীলা ইউনিয়নে ১ হাজার হেক্টর, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টর, পৌরসভায় ১৫ হেক্টরসহ প্রায় ১০ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাত আমনের চাষাবাদ হয়েছে।

উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের কৃষি কার্যক্রম তদারকিতে আট জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। তারা কৃষকদের সারের মজুদ পরিস্থিতি, রোগ ও পোকা মাকড় দমন, আলোক ফাঁদ স্থাপন, পরামর্শ প্রদান, প্রদর্শনী বাস্তবায়ন, কৃষি যন্ত্রপাতি জরিপ, কৃষি ম্যানুয়াল গ্রæপ তৈরিকরন, প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দিয়ে পর্যাপ্ত সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরন ও কীটনাশক প্রয়োগ সার্বিক তদারকি, পরামর্শ প্রদান এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে চাষকৃত জমিতে আশাতীত ফলন দেখা দিয়েছে।

মাঠের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। প্রতিটি কৃষক পরিবারে চলছে খুশির আমেজ। বাতাসে সোনালী ফসলের দোলা কৃষক-কৃষাণীর হাড়-ভাঙ্গা খাটুনির কথা ভুলিয়ে দেয়। তাছাড়া এবার আমন চাষীরা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়নি।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের কৃষক মো: রফিক বলেন, এবার আমন ক্ষেতে অকল্পনীয় ফলন হয়েছে। আমি ব্রিধান-৭৩, ৪৯ চাষ করেছিলাম প্রায় ১০ কানি জমিতে। কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের উপস্থিতিতে উল্লেখিত জাত কর্তন করা হয়। তাতে ফলন হয় ৬.০ টন (হেক্টর প্রতি) ও ৫.৪ টন (হেক্টর প্রতি)। যা আমার কল্পনার বাইরে।

কৃষক আবদু শুকুর বলেন, আবহাওয়া অনুক‚ল, সঠিক সময়ে রোপন, প্রশিক্ষণ, সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, তদারকি, সবকিছু রীতিমত নিয়ম-মাফিক হয়েছে। তাছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি নিয়মিত যোগাযোগের কারনে এবার আমনের বা¤পার ফলন হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি এলাকা ছাড়া রোগ ও পোকা মাকড়ের তেমন কোন প্রকোপ দেখা যায়নি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরওয়ার কাদের বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে মাত্রায় পৌঁছাতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এ কথা মাথায় রেখে উপক‚লীয় এলাকায় সকল কৃষকক‚লকে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়া, অনুক‚ল পরিবেশ, পর্যাপ্ত সারের মজুদ প্রাপ্তি, কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারসহ সব কিছু মিলিয়ে আমনের বা¤পার ফলন হয়েছে।

সহকারী কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রম বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি কৃষকের দারগৌড়ায় পৌছিয়েদেওয়ার কারনে আমনের বা¤পার ফলন ভাল হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা এবং আন্তরিকতায় টেকনাফে কষকদের মধ্যে সোনালী আমন ধানের বা¤পার ফলন হওয়ায় কৃষকরে মুখে হাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *