চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় ৪ বছর ধরে চলছে অনুমোদনহীন ইটভাটা

প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৯ ২০:০৭:২১ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৯ ২০:১২:৫৯


জাহেদুল হক,আনোয়ারা :
আনোয়ারায় অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘ চার বছর ধরে আবাদি জমি ও বসতবাড়ির পাশে ইটভাটা চালানো হচ্ছে। উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পরীরবিল এলাকায় মোহছেন আউলিয়া ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং (এমবিএম) নামে এই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে ।
ভাটার কালো ধোঁয়ায় প্রতিবছরই আশপাশের বাড়ির গাছের ফল নষ্ট হচ্ছে। মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে টিনের চাল। তাছাড়া আবাদি জমির ফসলও ভালো হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রভাবশালী সামশুল আলম ও সাতকানিয়া উপজেলার আবু তাহের ভাটাটি চালাচ্ছেন। ২০১৬ সালে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও ওই ভাটায় এখনো ইট তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়,এই ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষকদের কয়েক একর জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।


ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটার এবং ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক থেকে অন্তত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।
সরেজমিন দেখা গেছে,ওই ইটভাটার আশেপাশে কমপক্ষে ৭০-৮০টি পরিবারের বসবাস। চারপাশে রয়েছে তিন ফসলি জমি। ভাটার পাশের জমিগুলোতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এছাড়া রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়ক। এ সড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে বলে শ্রমিকেরা জানান।


স্থানীয় ইকবাল হোসেন বলেন,ভাটার অনুমোদন আছে কি না তা আমাদের জানা নেই। ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কাউকে কিছু বলেও লাভ হয় না। এলাকার লোক ভাটাটি চালায়। তাই কষ্ট সহ্য করে থাকি।


ভাটার ব্যবস্থাপক মো.মহিউদ্দিন বলেন,ডিসি অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো অনুমোদন দেয়নি। ডিসি অফিসে এলআর ফান্ডে টাকা জমা দেয়া হয়েছে। প্রতিবছরই টাকা দিতে হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে ভাটার মালিক সামশুল আলম পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়েছেন দাবি করে বলেন,অনুমোদন না থাকলে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবসা করতে দিত না।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন,ওই ভাটার বিষয়ে কিছু জানা নেই। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন,গ্রামের অধিকাংশ ইটভাটাই অবৈধ। এরা বিভিন্ন অসৎ উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করে। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান চালানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *