চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

খাল ভরাট করে বসতভিটা সম্প্রসারণ : ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কাজ বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৫ ২৩:০৮:০৭ || আপডেট: ২০১৯-১২-০৫ ২৩:০৮:১৫

আব্দুল্লাহ আল সাকিব, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় শতবছরের ঐহিত্যবাহি কদ্দাছড়া খাল ভরার করে স্থাণীয় নবী চৌধূরী নামে একব্যক্তি তার ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের কাজ করায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমান।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় থানা পুলিশ, সাংবাদিক ও ভুমি অফিসের লোকজন ছাড়াও স্থাণীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন বলেন, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় শতবছরের ঐত্যিবাহি কদ্দাছড়া খাল ভরার করে স্থাণীয় নবী চৌধূরী নামে একব্যক্তি তার ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের কাজ করায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমানকে অভিহিত করেন। পরে তাঁর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়। এসময় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শাখা খাল ভরাটের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন ভরাট করা ওই জায়গা তাদের খতিয়ানভুক্ত বলে দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

ফলে আপাতত সেখানে কোন ধরণের মাটি ভরাট কাজ না করার নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আগামী রবিবার অভিযুক্তপক্ষের লোকজন জায়গার কাগজপত্রসহ উপজেলা ভুমি অফিসে উপস্থিত হবেন। ওই সময় ভরাটকৃত খালের স্বপক্ষে যদি তারা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারেন তাহলে কদ্দাছাড়া খাল ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থাণীয় কোরালখালী এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় শতবছরের ঐহিত্য হচ্ছে এ কদ্দাছড়া খাল। কিন্ত বেশ কয়েকদিন ধরে শাসক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থাণীয় নবী চৌধুরী নামে একব্যক্তি তার ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের জন্য স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে এ খালের একটি অংশ ভরাট করে চলছেন।

ফলে উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও ব্যস্ততম চিরিঙ্গা-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের পাশের এই খালটি দিনদিন সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে। এতেকরে আগামী বর্ষা মৌসুমে ইউনিয়নের একটি বিশাল জনপদের পানি চলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়ে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসি।

স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের দাবি, পরিবেশ আইনে প্রবহমান নদী, শাখা খাল ও জলাধার ভরাট করা নিষিদ্ধ থাকলেও এ আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণ করছেন নবী চৌধূরী। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *