শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৬ ২১:১২:২০ || আপডেট: ২০১৯-১২-০৬ ২১:১২:২৯
খাগড়াছড়ি, প্রতিনিধি :
পার্বত্যাঞ্চলে নির্যাতিত নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত পাহাড়ী বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনরত “পার্বত্য অধিকার ফোরামের” সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ‘এস মাসুম রানাকে সংগঠনের নামে অর্থ উত্তোলন করে আত্বসাৎ, গঠনতন্ত্র বিরোধী আচরণ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দ্বায়ে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
গত ১১/১০/১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় পূর্বের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় মাসুম রানা’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদবী টিও বিলুপ্ত হয়েছে। একই সাথে অর্থ আত্বসাৎ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিয্ক্তু করে জবাব দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করে তাকে গত ১২/১০/১৯ ইং সদস্যপদ হতে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছিলো। কিন্তু গত ০৫/১২/১৯ ইং পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব পদবী পরিচয় দিয়ে সংগঠন বিরোধী বিভিন্ন অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। যাতে সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম,শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তিতে চরম আঘাত লেগেছে।
তাই পার্বত্য অধিকার ফোরামের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ধারা ১০ : আচরণবিধি এর (ট),(ঠ),(ণ) এবং ধারা ১৬ : সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা এর (ক),(খ),(গ),(ঘ),(ঙ),(চ) এবং (ছ) এর গুরুতর লঙ্ঘন করায় তাকে বহিস্কার করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতি পূর্বে পার্বত্য অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের আভ্যন্তরীন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত ১৩.০৯.১৯ ইং রোজ শুক্রবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন পরবর্তি কেন্দ্রীয় সংসদের উপদেষ্টা এমএম হেলাল কে আহবায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
একই তারিখে উপস্থিত সকল প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানার অর্থনৈতিক কেলেংকারী সহ যাবতীয় বিষয়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কার্যক্রমের অভিযোগ উঠে আসে। কেন্দ্রীয় সংসদের সমন্বয় কমিটির কাছে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলেও না করায় একই ধারাবাহিকতায় গত ০৪.১০.১৯ ইং রোজ শুক্রবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও হেরিটেজ পার্কে এবং গত ১১.১০.১৯ ইং রোজ শুক্রবার মাসুম রানার বাধার কারনে মাটিরাঙায় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সকল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কেন্দ্রীয় সংসদ, উপদেষ্টা, তিন জেলা ও উপজেলার গুরুপ্তপূর্ন নেতাকর্মীদের থেকে বিভিন্ন অভিযোগের আলোচনা, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অর্থ আত্বসাৎ ও কেলেঙ্কারীর নি¤œলিখিত অভিযোগ উপযোক্ত তথ্য প্রমাণ সহ উপস্থাপিত হয়।
উক্ত আলোচনার ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত হিসাবে এস এম মাসুম রানা কে গনতন্ত্র মোতাবেক নি¤œলিখিত অভিযোগের সন্তোষজনক জবাব দাখিলের জন্য চুড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হয়। সংগঠনের নামে সুনির্দিষ্ট খাত সমূহ হতে গ্রহণকৃত টাকা সংগঠন কে ফেরত দিতে সকলের সম্মতিতে নির্দেশ প্রদান করা হলেও কোন প্রকার জবাব দাখিল করেননী। এছাড়াও, ‘এস মাসুম রানা’ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংগঠনের নামে প্রায় ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে, তার বিরুদ্বে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ‘এস মাসুম রানা’ বলেন, পার্বত্য এলাকার সকল বাঙ্গালী সংগঠনকে বিলুপ্ত করে দিয়ে, আন্দোলনরত সংগঠন গুলো এক হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে “পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” নামে নতুন একটি সংগঠন আত্ম প্রকাশ করেছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যানারকে পুজি করে অনেকেই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। যারা মুল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে টাকা ও চেয়ারের আশায় নতুন নতুন সংগঠনের জন্ম দিয়েছেন তারাই তার নামে মিত্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেন অভিযুক্ত ‘এস মাসুম রানা’।