চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

খলিল চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি

সৌদিতে কপিলের নির্যাতনে নিহত সাতকানিয়ার নুর ড্রাইভারের লাশ নিজ এলাকা দাফন

প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৭ ১৯:২৫:৪১ || আপডেট: ২০১৯-১২-০৭ ১৯:২৫:৪৮

খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব প্রতিনিধি :

চলিত বছরের শুরুতে জানুৃয়ারীর প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবে নিজ কপিল সৌদি-নাগরিকের হাতে নির্মম নির্যাতন শিকার হয়ে নিহত চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নুরুল হক নুরু ড্রাইভার দীর্ঘ ১১ মাস পর নিজ দেশের মাটিতেই দাফন হলো।

সৌদি আদালতে মামলা জটিলতার কারণে নুরুল হক নুরু ড্রাইভারের লাশ সৌদি একটি সরকারি হাসপাতালের মর্গে ছিলেন। মামলা নিষ্সপতি শেষে লাশ দেশে পৌছেঁছায়ে দেয়া হয় বলে জানাগেছে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাসিন্দা নুরুল হক নুরুর লাশ। গতকাল ৬-ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার দিবাগত রাতে সৌদি আরবের জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামস্হ শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌছঁলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্ততর করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার লাশ নিজ গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এর আগে একই ৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টার সময় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লাশ দেশে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও চট্টগ্রামের রেয়াজ উদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর মেহেদি টেলিফোন এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, নুরু ড্রাইভারকে চলিত বছর ১ জানুয়ারি নিজ কপিল (মালিক)পাওনা টাকা নিয়ে তর্কাতর্কির এক একপর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছেন বলে পরিবারের অভিযোগ। তার শরীরে নির্যাতনের বিভিন্ন চিহ্ন থাকায় সেই সময় সৌদি আরবে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।


জানা যায়, এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা মেহেদি পাড়ার বাসিন্দা মরহুম আবদুল জলিলের পুত্র নুরুল হক নুরু ড্রাইভার (৫৫), ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।


প্রতিবেশী আবু বক্কর মেহেদি বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস পর নুরুর লাশ দেশে আসার খবরে দু-দুরান্ত থেকে স্বজন ও গ্রামবাসীরা তার লাশ এক নজর দেখতে ভীড় করেন। এসময় স্বজনদের কান্নায় এক শোকাতুর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মেহেদী পাড়ার মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *