চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

কাইছার হামিদ

বিজয়ের গল্প গাথা-১০

প্রকাশ: ২০১৯-১২-১০ ১৫:২৭:০৯ || আপডেট: ২০১৯-১২-১০ ১৫:২৭:১৭

কাইছার হামিদ:

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এদিনে এগিয়ে চলছিল মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়রথ। অন্যদিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকবাহিনীও বাড়িয়ে দিয়েছিল তাদের নৃশংসতার মাত্রা। রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে বাড়তে থাকে লাশের মিছিল। একাত্তরের আজকের এই দিনে খুলনা শিপ ইয়ার্ডে শত্রুর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। আজকের দিনে মুক্ত হয় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ। যৌথবাহিনীর ছত্রীসেনারা নামে নরসিংদীর রায়পুরায়। যৌথবাহিনীর অভিযানে দিনাজপুর, রংপুর ও সৈয়দপুরের পাকবাহিনীর এক দল আরেক দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না অনুমান করে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা এদেশের কৃতী সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে। ঢাকার শান্তিনগরের চামেলীবাগের নিজের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় দৈনিক ইত্তেফাকের তৎকালীন কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে। তাঁর লাশ আর পাওয়া যায় নি। আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার নতুন এক অধ্যায়।

এদিকে, মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমান ঢাকা বেতারকেন্দ্র ও কুর্মিটোলা বিমানবন্দরের উপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখে। সেসময় পৃথিবীর শক্তিশালী সেনাবাহিনী বলে আত্মঅহমিকায় ভুগতে থাকা পাকহানাদারদের কাছে ‘মুক্তি’ শব্দটি হয়ে উঠে এক আতঙ্কের নাম। পরাজয়ের আশঙ্কায় লেফটেনেন্ট জেনারেল নিয়াজি পালাতে চেষ্টা করলে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে তা ফাঁস হয়ে যায়।

এদিনে পাকহানাদার বাহিনীর হাত থেকে ময়মনসিংহের দামাল ছেলেরা নিজ জেলাকে মুক্ত করেন। একই দিনে পাকবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে মাদারীপুর, ভোলা ও নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *