চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব জয়নুল আবেদীনের নামাজে জানাজা

প্রকাশ: ২০১৯-১২-১৮ ২১:১১:০৭ || আপডেট: ২০১৯-১২-১৮ ২১:১১:১৪

লোহাগাড়া অফিস :

প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রমের নামাজে জানাজা (আগামী ১৯শে ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের আর্মি কেন্দ্রীয় মসজিদে (সেনাকুঞ্জের বিপরীত পার্শ্বে) অনুষ্ঠিত হবে।

একই দিনে (১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার) বাদে আসর মরহুমের জন্মস্থান চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামের সীরত ময়দানে দ্বীতিয় নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

সূত্রে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রম গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।

মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রম চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের জম্ম ১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারী। পিতা মরহুম ইছহাক মিয়া ও মাতা মরহুমা মেহেরুন্নিছা।

চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসায় তার পড়া-লেখার হাতে-খড়ি। পরবর্তীতে ফৌজদারহাট ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৯৭৫ সালে এস.এস.সি ও ১৯৭৭ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেন।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। দুই বছর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ১৯৭৯ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হন। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৯৫-৯৬ সালে দায়িত্ব পালনকালে তার সাহসী নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতার কারণে অনেক জটিল ও কঠিন সমস্যা শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়। দেশের প্রতি নির্ভয় আত্নত্যাগ, পাহাড়সম মানসিক দৃঢ়তা ও দেশ সেবার মহান ব্রত সবকিছু বিবেচনায় তাকে মর্যাদাপূর্ণ ” বীর বিক্রম” উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে তাকে এস.এস.এফ এর মহাপরিচালক পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। সফলতার জন্য ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি করা হয়। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। সম্প্রতি ৪র্থবার পুণরায় এ পদে বহাল থাকেন।

সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ লোহাগাড়া উপজেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দেন।

প্রচারবিমুখ ও সদালাপী এই মানুষটি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন ও আস্থাভাজন ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তিনি চুনতি গ্রামে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন মেহেরুন্নিছা প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত চুনতির অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মরহুম বাবার নামে ইছহাক মিয়া সড়ক নির্মাণ করেন। যা চুনতির সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী উচ্চ বিদ্যালয় ও চুনতি মহিলা ডিগ্রী কলেজের জাতীয়করণ করেন। চুনতি পানত্রিশায় বীর বিক্রম জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চুনতিবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী চাম্বীখালে রাবার ড্যাম বাস্তবায়ন করেন। এছাড়া, ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস স্থাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *