চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী ৮ জাহাজকে অতিরিক্তি যাত্রী বহনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ২০১৯-১২-২৩ ১৬:৩৯:৫৮ || আপডেট: ২০১৯-১২-২৩ ১৬:৪১:৩২


আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ  :
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারি পর্যটকবাহি ৮টি জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দূর্ঘটনা এড়াতে, ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌবন্দর ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ অভিযানে ছিলেন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল মনসুর, নৌ-পুলিশের এ এস আই মোহাম্মদ মিরাজ উদ্দিন, নৌ-বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ভূইয়া, অপারেটর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।


উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহি ৮টি জাহাজ চলাচল করছে। সোমবার খবর আসে, জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এরপর দূর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নেতৃত্বে একটি দল সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায়৮টি পর্যটকবাহি জাহাজকে ২ লাখ ১ হাজার ৯’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তার মধ্যে, কেয়ারি সিন্দাবাদকে ২৪ হাজার, কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ড্রাইং-এ সাড়ে ৭ হাজার, গ্রীন লাইন ৯’শ, বে-ক্রুজ  ১২ হাজার, আর্টলান্টিক ৭৫ হাজার, এমভি ফারহান সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি পারিজাত সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি দোয়েলকে সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ না করতে সর্তক বার্তা দেওয়া হয়।   জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী ৮টি পর্যটকবাহি জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা তাদের এ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে দিন দিন পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য দূর্ঘটনা এড়াতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এ নৌরুটে ৮টি জাহাজ চলাচল করছে। কোন জাহাজ যাতে ধারণক্ষমতার বাহিরে কোন অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য আমরা নিয়মিতি তদারকি করছি। যদি কোন জাহাজ পর্যটক হয়রানি ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দিবো।’


উল্লেখ যে, গত ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৮টি জহাজকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন এসব জাহাজ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে আসছিল। এছাড়া পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটও নেই তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *