চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুই বেসরকারি স্কুল সরকারিকরণের সূচনা করেছিলেন : শিক্ষক সমিতির সম্মেলনে কংজরী চৌধুরী

প্রকাশ: ২০১৯-১২-২৭ ২১:১১:৩৩ || আপডেট: ২০১৯-১২-২৭ ২১:১২:০২

শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি :

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পোঁছে দিতে ১৯৭৩ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ২৬ হাজার ১শ ৮৭টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেছেন। তিনিই মহৎ এই উদ্যোগের সূচনা করেছিলেন।

আজ তারই ধারাবাহীকতা বজায় রেখে তার সুযোগ্য উত্তরসুরি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬হাজার ১শ ৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি ভাবে জাতীয়করণ করেন। সুধু তাই নয় পার্বত্য তিন জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ইউএনডিপি কতৃক পরিচালিতবস্থায় ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২১০টি প্রাথমিক স্কুলকেও ২০১৮ সালে জাতীয়করণ করেদিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হলরুমে, খাগড়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্মেলন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনটির সভাপতি জ্যোতি ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষা বিষয়ক আহবায়ক ও সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: সাজ্জাদ হোসেন, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা, ৪নং পেরাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, ৫নং ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা।

এসময়, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলেন, খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে এসএমসি কতৃক পরিচালিত হয়ে আসা ১৩৭ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীকে ৫৪৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনা-বেতনে পাঠদান করে আসছেন।

তাই পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলের কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবনমান উন্নয়নে ১৩৭ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয়করণ করার জন্য সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানান।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমতুল্যে এই ১৩৭টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, শিক্ষক সমন্বয় সভা এবং সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চাহিদা অনুযায়ী স্কুল গুলোতে পাঠ্য বই. শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পাওয়া থেকেও বঞ্চিত।

তায় দ্রুত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমতুল্যে এই ১৩৭টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ, বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ফার্নিচার এবং জরাজীর্ণ স্কুল মেরামত বা পূণনির্মান সহ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ধরনের শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়ের তথ্য আদান-প্রদান এবং পর্যাপ্ত পাঠ্যবই বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সাংসদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রতি জোর দাবি করেন।

আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে সরকারিকরণ সহ বেসরকারি স্কুল গুলোর জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *