মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১২-৩০ ১৫:৫৪:৫৭ || আপডেট: ২০১৯-১২-৩০ ১৫:৫৫:০৬
মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ মাছ বাজারের রাস্তা বন্ধ করে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কোটি টাকার বিরোধীয় জায়গায় রাতের আধাঁরে দখল করে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে ভবন (স্থাপনা) নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী নুরুল আলম গং ‘রা।
এ বিষয়ে অসহায় রাখাল ভট্টাচার্য গত ৯ ডিসেম্বর উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের দারস্থ হলে আদালত সদর সহকারী ভূমি কমিশনারকে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার পাশাপাশি কক্সবাজার সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জকে বিরোধীয় জায়গায় আইন শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।
রাখাল এ প্রতিবেদককে জানান প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ নুরুল আলম গংরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে রাতের আধাঁরে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নিরব থাকায় এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি আদালতের নির্দেশনা পাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে উক্ত বিরোধীয় জায়গায় ভবন (স্থাপনা) নির্মাণ করতে নির্মাণকারী প্রবাসী নুরুল আলম পক্ষের লোকজন মাছ বাজারের চলাচলের কয়েক দশকের রাস্তা রাতের আধাঁরে বন্ধ করে দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুসলিমের মধ্যে যেকোনো মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবুল কান্তি দে।
অপরদিকে সচেতন এলাকাবাসী একই মন্তব্য করে বলেন প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপে না নিলে বিরোধীয় পক্ষদ্বয় ও সাধারণ বাজার মুখো লোকজনের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। তাই হিন্দু সম্প্রদায় ও স্থানীয় জনসাধারন অবিলম্বে বাজারের রাস্তা খুুলে দিয়ে জনগণের দূর্দশা লাঘব এবং হিন্দুদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে বিরোধীয় পক্ষদ্বয়ের সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে দায়ীত্বপ্রাপ্ত সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র মোহাম্মদ ইয়াসিন এ প্রতিবেদককে জনান বাদী আমার সাথে যোগাযোগ করে না। সদর থেকে অনেক দুরে এ জন্য কবে কাজ চালায় আমিতো জানিনা। তবে নুরুল আলম এক হিন্দুর কিছু জমি ক্রয় করেছে সেখানে বাদী রাখাল নিজে সাক্ষী আছে। এর পরেও তিনি বিষয়টি দেখবেন। আর সেখানে মুসলিম ও হিন্দুদের সাথে সম্প্রতি নষ্টের প্রশ্ন আসেনা।
বিষয়টি নিয়ে নুরুল আলম এর মুঠো ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।