জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১২-৩১ ১৭:২৪:২৭ || আপডেট: ২০১৯-১২-৩১ ১৭:২৪:৩৫
জাহেদুল হক,আনোয়ারা :
আনোয়ারা উপকূলে এবারও তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে খেত থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি শুরু করেছেন চাষিরা। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরেও যাচ্ছে এসব তরমুজ। এই এলাকার তরমুজ আকারে ছোট হলেও স্বাদ বেশি। তাই ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরাও খুশি।
গত সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শঙ্খের মোহনায় ধলঘাট থেকে বার আউলিয়া পর্যন্ত উপকূলে ও পারকি সমুদ্র সৈকতের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে তরমুজ খেত। সেখানে চাষিরা খেতের পরিচর্যা করছেন। একেকটি তরমুজের ওজন দুই থেকে চার-পাঁচ কেজি হয়েছে।
ধলঘাট এলাকার চাষি জকু মাঝি বলেন,এবার তিন মাস আগে থেকেই ২২ কানি (প্রায় ৯ একর) জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেছি। পরিচর্যার পাশাপাশি নিয়মিত সার,পানি,বিভিন্ন ভিটামিন প্রয়োগ ও আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি বলেন,তরমুজ চাষে এবার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। মোট ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।
বার আউলিয়া এলাকার চাষি ছৈয়দ নুর জানান,সমুদ্র উপকূলে তরমুজের চাষ অন্যান্য এলাকার তুলনায় দুই মাস আগে হয়। এই তরমুজের চাহিদা বেশি এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। তরমুজের চাষ করে প্রতিটি খেতের মালিক এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
পারকি সৈকত এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন জানান,চাষিদের কাছ থেকে পাইকারী দরে তরমুজ কিনে সৈকতে আসা পর্যটকদের কাছে বিক্রি করি। তরমুজের স্বাদ বেশি হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে।
চাষিদের অভিযোগ,কৃষি কর্মকর্তাদের কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শ পাইনি তারা। তাদের নিজস্ব ধারণায় তরমুজের চাষাবাদ করেছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.হাসানুজ্জামান বলেন,চলতি বছরে পারকি,ফুলতলা, বার আউলিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আনোয়ারায় কয়েক বছর ধরে আগাম তরমুজ চাষে ফলন ভালো হচ্ছে।