চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাস

প্রকাশ: ২০২০-০১-০১ ২০:১৬:২২ || আপডেট: ২০২০-০১-০১ ২০:২৯:২৮

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায়ও সারা দেশের ন্যায় নতুন বছরের প্রথম দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার প্রতিটি স্কুলের আঙ্গিনায় বইয়ের ঘ্রাণে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।

বছরের শুরুতেই নতুন শ্রেণির নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দে উল্লসিত নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহাম্মদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা,দৌছড়ি, বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

বিজিবি স্কুলের ৫ শ্রেণীর এক ছাত্র জানান, পরীক্ষায় ভাল ফল পাওয়ার পরেই আনন্দ উপভোগ করি। তবে আজ বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পাওয়ায় আনন্দ আরো বেড়ে যায়।

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর, বাইশারী,দৌছড়ি, ঘুমধুম, সোনাইছড়িসহ ৫ ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী রামুর দুই ইউনিয়ন গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় নতুন বছরের নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ করা গেছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া শুরু করেন স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যান ও সভাপতি গণ।

এদিকে সকাল ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহাম্মেদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের মাধ্যমে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শফি উল্লাহ ও নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি।

এ সময় চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শফি উল্লাহ বলেন, এই বই উৎসব দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ, সামাজিক দেশ, অর্থনৈতিক দেশ, শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত দেশ। বই পড়ে শিশুরা ভালো করে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে। জ্ঞান আহরণ করে নিজেকে ও জাতি-সমাজকে সমৃদ্ধ করবে।

উল্লেখ্য এ বছর নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে পাঁচটি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকও। তবে ঐ পাঁচ ভাষার পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে তিন ভাষার নতুন বইও বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে।

অপরদিকে রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সকাল ১০ টা থেকে নতুন বই বিতরণ করা হয়। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা,ফাক্রিকাটা, শুকমুনিয়া, ১ নং গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমানসহ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠান প্রধান গণ।

কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন টুক্কু,প্রধান শিক্ষক আবছার উদ্দিনসহ গন্যমাণ্য ব্যক্তি,শিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কচ্ছপিয়া কেজি জুনিয়ার হাই স্কুলে পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদীক মাঈনুদ্দিন খালেদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিদ্যালয়টির বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় শিক্ষক ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা ছিলেন

বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আবুল কাশেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপীঠে বই বিতরণ উৎসব প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী অসির প্রণয় চাকমা,বিশেষ অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা ভূমি কমিশনার, থোয়াইহলা চৌ্ধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আরিফ উল্লাহ, আজিজ মওলাসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তি গন।


এছাড়াও গর্জনিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,পোয়াঙ্গের খিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নতুন বছরের বই উৎসব যথাযথ ভাবে পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *