চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

চকরিয়ায় বড়ভাইয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা ছোট ভাইয়ের

প্রকাশ: ২০২০-০১-০৭ ১২:০৫:০৩ || আপডেট: ২০২০-০১-০৭ ১২:০৬:০৯

আব্দুল্লাহ আল সাকিব, চকরিয়া :
চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ লঙ্গনের মাধ্যমে বড় ভাইয়ের অংশের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় খলিলুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দখলের অভিযোগ তুলেছেন বড়ভাই মোহাম্মদ শফির পরিবার।


অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড পুকপুকুরিয়া কমিশনার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান ও মোহাম্মদ সফি সওদাগর তারা দুজন আপন ভাই। জরিনা খাতুন তাদের মা। ওইস্থানে পশ্চিম পাশে দু’তলা বাড়িটি সফি সওদাগরের ও উত্তর পশ্চিমে খলিলুর রহমানের বাড়ি এবং কমিউনিটি সেন্টার। তাদের দুই বাড়ির পেছনে মা জরিনা খাতুনের ৪০৭ দাগের ৬৭ শতক জমি।

উল্লেখিত জমি থেকে ৩৭ শতক জমি খলিলুর রহমান মায়ের কাছ থেকে কৌশলে তিন সন্তানের নামে হেবা করে নেয় ২০০১ সালে। বাকি ৩০শতক জমি ২ভাই ৫ বোন মিলে পায় জরিনার মৃত্যুতে ওয়ারিশ সূত্রে। কিন্তু খলিলুর ১৯ বছর ধরে জমি বড়ভাই সফি সওদাগর ও বোনদের দখলে যেতে দিচ্ছে না। সফি সওদাগর তার ভাগের অংশ ৬ দশমিক ৬৬ শতক জমি নিজ সন্তানদের নামে খতিয়ান করে দেয়। ওই খতিয়ানে দলিল ট্রেসসহ চিহ্নিত করে নেয় সফি সওদাগরের বাড়ির পেছনে ভিটা বাড়ির সাথে। সেই থেকে প্রভাবশালী খলিলুর রহমান ও তার ছেলে সোহেল সফি সওদাগরের অংশটুকু দখলে নিতে দিচ্ছে না। এ ঘটনায় বড়ভাই সফি সওদাগর স্থানীয়ভাবে শালিশের ব্যবস্থা করলেও ছোট ভাই খলিলুর রহমান তা অমান্য করে জমি জবরদখল চেষ্ঠা অব্যাহত রাখে।

বড়ভাই সফি সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান গং বাদি হয়ে ২০১৭ সালে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা (নং১৭৮/১৭) দায়েন করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত বড়ভাই সফি সওদাগরের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু মামলার রায় সফি সওদাগরের পক্ষে হওয়ার পরও তা অগ্রাহ্য করে ছোটভাই খলিলুর রহমান।
ছোটভাই খলিলুর রহমান প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে বড়ভাই সফি সওদাগরের অংশের জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো জোর পূর্বক সেখানে ইটের দেয়াল দেয়ার মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে।

এরই প্রেক্ষিতে সফি সওদাগরের পরিবার সদস্যরা অংশের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করলে আইনী সহায়তা চেয়ে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ (৩০৯০) ও একই বিষয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর একটি জিডি(১৪১০) দায়ের করেন। তারপরও অভিযুক্ত খলিলুর রহমান এবং তাঁর ছেলেরা জমি দখলচেষ্ঠা চালিয়ে যেতে থাকে।

জবরদখল চেষ্ঠার ঘটনায় শাহজাহান বাদী হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি (এমআর মামলা নং ০৬/২০২০) দায়ের করেছেন। মামলার শুনানী শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করেছেন। একই সঙ্গে বিরোধীয় জমির সার্বিক বিষয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও উল্লেখিত জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *