চট্টগ্রাম, , রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

admin

চট্টগ্রামে গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ২০২০-০১-২০ ১৭:৪৫:০১ || আপডেট: ২০২০-০১-২০ ১৭:৪৫:১০

বীর কণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রাম আদালতে গণহত্যা রায়ের শুনানিতে পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ ‍দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মো. ইসমাঈল হোসেনের আদালত। একই সাথে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া আরেক মামলায় তাদের অনাদায়ে ৫০ হাজা্র টাকা জরিমাণা ও ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই রায় ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামি হলো- জে সি মণ্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। আসামিরা সবাই পুলিশ সদস্য ছিলেন।

এদের মধ্যে জে সি মণ্ডল পলাতক। বাকি চার আসামি রায় ঘোষণার সময়আদালতে উপস্থিত ছিলেন। চার আসামি এ মামলায় জামিনে ছিলেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) চার আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে লালদিঘি ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান ২৪ নেতাকর্মী।
এরা হলেন- মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।

এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। ২০০০ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বভূ প্রসাদ বিশ্বাস জানান, ১৯৮৮ সালে লালদিঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালত ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অনাদায়ে ৫০ হাজা্র টাকা জরিমাণা ও ১০ বছরের সাজা দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *