চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin

রাঙ্গুনিয়ায় শীতকালীন পিঠা উৎসব

প্রকাশ: ২০২০-০১-২২ ২১:১৬:১৭ || আপডেট: ২০২০-০১-২২ ২২:২০:০০


আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া :


রাঙ্গুনিয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জমজমাট পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার সৈয়দবাড়ি গ্রামে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে এ রহমান গ্রুপ।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আয়োজিত পিঠা উৎসবে খেজুরের রস সহ ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, মুগ পাক্কন, কাটা পিঠা, সেমাই পিঠা, মুক সল্লা পিঠা, কলই পিঠা, ঝিনুক পিঠা, বিবি খানা পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, নারকেল ফুল পিঠা সহ প্রায় ২০ ধরণের পিঠার স্বাদ নিয়েছেন উৎসবে আগত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শিশু থেকে সব বয়সী মানুষ।

নতুন প্রজন্মকে দেশীয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টি জানাতে এবং এ রহমান গ্রুপের সকলে একসাথে মিলিত হয়ে আনন্দে মেতে উঠতে শীতকালীন এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বলে জানান গ্রুপের চেয়ারম্যান কোরবান আলী। উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান সিকদার।

ব্যতিক্রমি এই আয়োজনে ছিলেন মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বদি আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আবদুর রহমান জামী, গুমাইবিল পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক, শ্রমিক নেতা ইসকান্দর মিয়া, শিক্ষক রতন কান্তি শীল, সাবেক ইউপি সদস্য মো. হারুন, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কপিল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন মেনন সহ এ রহমান টাওয়ারের সকল আবাসিক পরিবারের সদস্যবৃন্দ।


কথা হলো পিঠা উৎসবে আসা সংগীত শিল্পী জুলিয়ানা ছাদেক সোমার সাথে। তিনি বলেন, ‘ঐহিত্যবাহী হারানো অনেক পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম। প্রতিবছর এ রকম উৎসব হলে পিঠা নিয়ে সবার মধ্যে আগ্রহ বাড়বে।’


মো. ফয়সাল নামে অপর একজন বলেন, ‘এই উৎসবের আয়োজন করায় অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছে। পরিচয় ছিল না এরকম অনেকের সাথেও পরিচয় হয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠার স্বাদ নিয়েছি। উৎসবটি যেন প্রতিবছরই হয়, এটাই প্রত্যাশা।’


এ উৎসবের আয়োজক ও এ রহমান গ্রুপের চেয়ারম্যান কোরবান আলী বলেন, ‘গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যের অনেক পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। উদ্দেশ্য ছিল এই উৎসবের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সুস্বাদু পিঠা ফিরিয়ে আনা।

নতুন নতুন পিঠার সঙ্গে সকলকে পরিচিত করানোর পাশাপাশি সকলেই একসঙ্গে কিছু সময়ের জন্য হলেও মিলিত হতে পেরেছে। এটাই সাফল্য বলে মনে করি। সকলের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উৎসবের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *