চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

রামুর গর্জনিয়ায় একটি ব্রিজের অভাবে কবরস্থানে লাশ নিলেন পানিতে ভাসিয়ে

প্রকাশ: ২০২০-০২-১৫ ২০:৩৭:৪৩ || আপডেট: ২০২০-০২-১৫ ২০:৩৭:৫২

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
একটি ছোট ব্রিজের অভাবে লাশ নিয়ে পায়ে হেঁটে কবরস্থানে যেতে পারে না। এলাকাটি কক্সজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শীয়া পাড়া। এ গ্রামের কেউ মারা গেলে বার বার উঠে আসে এমন কঠিন অমানবিক বাস্তব চিত্র।

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও যার কোন সমাধান হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের মৃত্যুর পর আবারো গর্জনিয়ার শিয়া পাড়ার মানুষকে মুখামুখি হতে হয়েছে এ অমানবিক ও নিষ্ঠুর দৃশ্যে ।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের হরিণ খাইয়া গ্রামের মৃত্যু আকবর আহমেদরে পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা

মোজাফফর আহমদ প্রকাশ মুজারু(৭৮) মৃত্যু বরণ করেন। তাহার পিতা, মাতার কবরের পাশে দাফন করার জন্য লাশ নিয়ে জানাযা পড়ার লক্ষ্যে হরিণ খাইয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিয়া পাড়া জামে মসজিদের কবরস্থানে দাফন করার জন্য যান।

জানযায় অংশ নিতে কেউ কেউ বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পার হয়। তবে বেশির ভাগ গ্রামবাসীকে পার হতে হয় কোমর পর্যন্ত পানিতে ভিজে। আর লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাতের উপর ভার করে পানিতে ভাসিয়ে। যা দেখে মানুষের বিভেকে প্রশ্ন জাগে।

এলাকাবাসি জানান, এমন অমানবিক চিত্র জনপ্রতিনিধি ও সরকারকে দেখালে এর সমাধান হবে, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি? তার অভিযোগ, কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে অবহেলিত জায়গাটি হচ্ছে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল শিয়া পাড়া।

এলাকাবাসি আরো জানান এখানকার স্থানীয়রা জানেনা কে তাদের ইউপি চেয়ারম্যান? কে তাদের উপজেলা চেয়ারম্যান, কে তাদের এমপি?

এছাড়া এসব সড়ক ও ব্রিজের কারণে ওই এলাকার ছোট্ট কোমলমতী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। যে কারণে এই এলাকার মানুষ বেশির ভাগই অশিক্ষিত।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ উপজেলা ও জেলার জনপ্রতিনিধিদের আমি বার বার অনুরোধ করে বলেছি,শিয়া পাড়া এবং বড়বিলে একটি ব্রিজের দরকার, কিন্তু তারা কেউ কথা শোনে না। এজন্য এর সমাধান হয়নি। একটি ব্রিজের জন্য প্রায় হাজারের অধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী বলে দাবি তার।

এ ব্যাপারে গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *