শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে অস্ত্র, গুলি ও নগদ টাকাসহ ২ ইউপিডিএফ সদস্য আটক

খাগড়াছড়ি, প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়িতে একদিনের ব্যবধানে অস্ত্র ও গুলি এবং নগদ ১২ লাখ টাকাসহ দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী জানায়, রোববার বিকেলে ভাইবোনছড়া এলাকায় ইউপিডিএফ এর ৪/৫ জন সন্ত্রাসী নাশকতামূলক কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়।

খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন সদর জোনের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এসময় এলোপাতাড়ি গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এক পর্যায়ে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা।

পরে, ঘটনাস্থলথেকে আহতবস্থায় রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার কিরণ বিকাশ চাকমার ছেলে ইউপিডিএফ (মূল) সদস্য সুভাষ চাকমাকে (৩০) আটক করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে একটি শর্টগান গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সুভাষ চাকমাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অপরদিকে, রোববার রাত ১টারদিকে দীঘিনালা বাবুছড়ার মগ্য কার্বারি পাড়া থেকে ইউপিডিএফ মূল (প্রসীত) সদস্য আকাশ চাকমাকে (৩৮) আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী।

এসময়, তার কাছ থেকে ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪৫ নগদ টাকাসহ স্বর্ণলংকার উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে আকাশ চাকমা মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় টহল দল থামানোর জন্য সংকেত দেয়।

সংকেতউপেক্ষা করে আকাশ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে দিঘীনালা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটককৃত আকাশ চাকমা ইউপিডিএফ প্রসীত দলের বাঘাইহাট (গংগারাম) এলাকার চীফ কালেক্টর হিসাবে কাজ করে বলে জানায় নিরাপত্তা বাহিনী। আকাশ চাকমা দীঘিনালা বাবুছড়ার মৃত নলেন্দ চাকমার ছেলে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, আটককৃত আকাশ চাকমাকে নিরাপত্তা বাহিনী থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াচলমান রয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত দলের খাগড়াছড়ির মুখপাত্র অংগ্য মারমা ও জেলা ইউনিটের সংগঠক অনি চাকমা।

পৃথক বিবৃতিতে পানছড়ির নালকাটা এলাকায় সুভাষ চাকমা (৩০) ও দীঘিনালা উপজেলায় আকাশ চাকমা ওরফে এ্যাকশন (৩৮) দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ইউপিডিএফ সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি ও অন্যায় গ্রেফতার-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।