চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি

হেডম্যান-কার্বারিরা পাহাড়ের প্রাণ : বীর বাহাদুর উশৈসিং

প্রকাশ: ২০২০-০২-২৬ ১৮:৩৯:০১ || আপডেট: ২০২০-০২-২৬ ১৮:৩৯:০৯

শংকর চৌধুরী, খাগড়াছড়ি :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, হেডম্যান ও কার্বারিরা হলেন পাহাড়ের প্রাণ। তারাই সমাজের ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব ধরনের সুবিধা-অসুবিধা সমাধান দিয়ে পাহাড়কে গতিশীল রেখেছেন। যার ফলে আদালতে বিচার কার্য কম থাকে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হলে, “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের সেবা হবে জনতার” স্লোগানে পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান সম্মেলন ২০২০ অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, হেডম্যান কার্বারিদের ঐতিহ্যবাহী এ প্রথাকে শক্তিশালী করতে সরকার সব ধরনের কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে। সকল হেডম্যান কার্বারিদের দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এলাকার সকল মানুষের মঙ্গলে কাজ করার আহবান জানান এবং সকল হেডম্যান-কার্বারিদের কার্যালয় ও পশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দিবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। সিএইসটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক’র সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক’র সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা।

তিনি বলেন, সম্মেলনে জেলার ৩০০ জন হেডম্যান ও ৭০০ জন কার্বারি অংশ নেন।

এ ছাড়া ৩ পার্বত্য জেলার হেডম্যান-কার্বারি নেতারাও যোগ দিয়েছে। কার্বারি-হেডম্যান সংগঠন শক্তিশালী করনে সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়সহ প্রশাসন প্রথাগত আইন-কানুন অগ্রাহ্য করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী প্রশাসনিক কাঠামো রাজা, হেডম্যান ও কার্বারিরা কার্যকর ও ৪ হাজারের বেশি কার্বারি রয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি অনুযায়ী হেডম্যান-কার্বারীদের সব উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে নানা রকম বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার হয়ে হেডম্যান-কার্বারিরা কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে।

হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরন জয় ত্রিপুরার সঞ্চালনায়, সংরক্ষিত আসনের নারী এমপি বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, চাকমা সার্কেল ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, মং সার্কেল রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম, পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল আলম, এএলআরডি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টাউন হল প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে টাউন হলে এসে সম্মেলনে একত্রিত হয়।

সম্মেলনে ২০২০-২৩ মেয়াদকাল পর্যন্ত নির্বাচিত ২১ জন বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি কংজরী চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমার নাম ঘোষনা করেন, প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *