আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৩-০২ ১৯:২০:৪৭ || আপডেট: ২০২০-০৩-০২ ১৯:২০:৫৫
আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
টেকনাফে র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৮ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। সোমবার টেকনাফের জাদিমুড়া গভীর পাহাড়ে কুখ্যাত ডাকাত দল জকি গ্রুপের সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ সিটিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে.মির্জা শাহেদ মাহতাব। অপরদিকে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে।
র্যাব-১৫ সিটিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব তিনি বলেন, সোমবার ভোরে জাদিমোড়া পাহাড়ে কুখ্যাত ডাকাত জকিরের সন্ধানের খবরে পেয়ে তিনিসহ র্যাবের একটি দল ওই ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালান।
এ সময় পাহাড় থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ডাকাত দল। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
এসময় দফায় দফায় ডাকাত দলের সাথে প্রায় ৭০/৮০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয় এতে ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।
এবং ঘটনাস্থল থেকে ৭ টি এলজি অস্ত্র, ৩ টি ৯ মি: মি পিস্তল, ১২ রাউন্ড পিস্তলের কাতুজ ও ১৩ রাউন্ড এলজি কার্তুজ উদ্ধার করা হয় ।
নিহতরা হচ্ছেন, জাদিমুরা ক্যাম্পের, নূর হোসেন (২৫) মোহাম্মদ ফারুক (২৬) শালবাগান ক্যাম্পের মোঃ ইমরান (২৩) ও মোহাম্মদ আলী হোসেন (২৫) সহ সাতজন নিহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, র্যাব সদস্যরা মাদক ও ডাকাত দলের পাশাপাশি যে কোন অপরাধে র্যাব সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। রবিবার রাতে সাড়ে ১১ টা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া জাদিখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান। নিহত ব্যক্তি হচ্ছে,মিয়ানামার মংডু এলাকার জাফর আলমের পুত্র নুর আলম(৩০)।
বিজিবির দাবি করেন,ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দেড় লাখ ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থানরত কুখ্যাত ডাকাত আব্দুল হাকিমের নির্দেশনায় ডাকাত জকির, ছৈয়দ হোছন ওরফে পুতিয়া, খাইরুল আমিন, সালমান শাহ, মোঃ শফি, আনোয়ার, নুর হোছন, মোঃ ইসলাম ধইল্যা, নুরুল ইসলাম ওরফে নুর সালামের নেতৃত্বে স্বশস্ত্র বেশ কয়েকটি ডাকাত গ্রুপ অবস্থান করছে।
এরা পাহাড় হতে নেমে ক্যাম্পে এসে মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অস্ত্র বেচা-বিক্রি, ভাড়াটে খুনি, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের মহড়া চালাচ্ছে। বলতে গেলেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডাকাত চক্র ও তার সহযোগীরা।
ক্যাম্পে তাদের অপতৎপরতার কারণে অনেক স্থানীয় ও এনজিও কর্মী প্রাণনাশের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে একাধিক কর্মীর দাবী।
এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব এলাকায় অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়েই বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছে।