চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মিজবাউল হক চকরিয়া অফিস

চকরিয়ায় চাল নিয়ে চালবাজি, ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৫ ১০:৩৬:১২ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৫ ১০:৩৬:১৫

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডে ১০টাকায় চাল ক্রয়ের সুবিধাভোগী ১৯ জনকে মৃত ও ১৩ ব্যক্তিকে স্বচ্ছল দেখিয়ে তালিকায় নয়-ছয় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনকে চাল কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। মঙ্গলবার ২৪ মার্চ সকাল ১০টায় বরইতলীতে ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউলের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে।

ভুক্তভোগী ছৈয়দুল হক, মো. ইব্রাহিম ও একরামুল হক বলেন, তিনবছর ধরে আমরা ১৩৩ দরিদ্র পরিবার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে সরকারের দেয়া ১০ টাকা দামের চাল ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে আসছি। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম উক্ত তালিকা সংশোধন করে সুবিধাভোগী ১৯ জীবিত ব্যক্তিতে মৃত দেখিয়ে ও ১৩ ব্যক্তিকে স্বচ্ছল দেখিয়ে তালিকা প্রণয়ন করেন। সোমবার সকালে চাল কিনতে গেলে তাদের কার্ডগুলো ফেরত নিয়ে নেয়া হয়। এসময় জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ডিলার বলেন তালিকায় মৃত ও স্বচ্ছল দেখিয়ে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বড় ভাই এনামুল হক পার্বত্য লামা উপজেলার বাসিন্দা হয়েও তালিকায় তার নাম রয়েছে।

বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার বেলাল আহমদ বলেন, যুবদল নেতা ইউপি সদস্য রেজাউল করিম স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জীবিত ব্যক্তিদের মৃত ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের স্বচ্ছল দেখিয়ে কাটছাট করে একটি নতুন তালিকা তৈরী করেছেন। ওই তালিকায় নাম দেয়া অধিকাংশ লোক তার আত্মীয়স্বজন। ৪নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ বলেন, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম আগের তালিকায় থাকা সরকারি দলের সমর্থকদের বাদ দিয়ে তার আত্মীয়স্বজনকে তালিকাভুক্ত করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, তালিকায় কিভাবে জীবিতদের মৃত দেখানো হলো তা আমি জানি না। ইউপি সচিব নুরুল আলম এসব জানেন। তবে আমার ভাই এনামুল হক অন্য এলাকার ভোটার হলেও তিনি বরইতলী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *