চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

খলিল চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি

সৌদি সরকার নিঃশর্তে কাফালা পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে

প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৭ ১৯:৩৪:৫৭ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৭ ১৯:৩৫:০২

খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব প্রতিনিধি: উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির দেশ ও সবচেয়ে বেশি শ্রম বাজার হিসাবে পরিচিত মধ্যপ্রাচ্য সৌদি আরবে বিদেশী কর্মীদের কোন রকম শর্ত ছাড়াই বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানে কাফালা পরিবর্তন করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সৌদি আরব সরকারের সর্বোচ্চ র্নীতিনির্ধারণ ফোরাম থেকে অনুমোদনের পর সরকারের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে আতংকিত ও প্রাণঘাতী রোগ করোনভাইরাস পরিস্থিতিতে নতুন যে ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছিল তা এখন থেকে “আজির হায়ারিং” পোর্টালের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। এ পোর্টালটি যেকোন বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকারী এবং কর্মচারীদের চুক্তি সম্পর্কে দেখাশোনা করে। সৌদিতে কাফালা পরিবর্তন এর নিঃশর্ত অনুমোদন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ধরণ ছাড়াই বিদেশী কর্মীদের কাফালা (স্পনসরশিপ পরিবর্তন) করে নিতে পারবে। অর্থাৎ এক পেশার লোক অন্য পেশাতে কাজ করতে না পারার বিধিনিষেদধটিতে সাময়িকভাবে শিথিলতা দেয়া হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত একাধিক উদ্যোগের মধ্য এটি উল্লেখযোগ্য, কারণ এই উদ্যোগের ফলে এখন থেকে কর্মীদের কাজ করা আরো সহজ হয়ে যাবে, সেই সাথে শ্রমবাজারের জনবল থেকে বাজার অর্থনীতির উপকৃত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সৌদি মন্ত্রণালয় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল আজির প্রোগ্রামের মাধ্যমে শ্রমবাজার থেকে লোক নেয়া শুরু হবে। এতে করে শ্রমিকের অভাবে আর্থিক ক্ষতিতে পরা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেদের শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে। এতে করে অসংখ্য শ্রমিকদেরও নতুন করে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। সৌদি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান মেয়াদে জনশক্তির উচ্চ চাহিদা অর্জনকারী খাতগুলোতে প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমানে বিদেশী কর্মী সরবরাহ করা। জনবলের উচ্চ চাহিদা রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে বিদেশী শ্রমিকদের কাজে নিযুক্ত করা। চাহিদা অনুযায়ী বিদেশী শ্রমিক সরবরাহ করার মাধ্যমে এখন থেকে শ্রমিক এবং প্রতিষ্ঠান দুজনেই লাভবান হবেন।এছাড়া স্পনসরশিপ পরিবর্তনে সৌদি সরকার তাদের পূর্বের অনেক শর্ত শিথিল করেছে। শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র এবং কাজের ধরন যদি একই রকমের হয়, সেক্ষেত্রে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মরত মোট শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কর্মচারী সেখানে নতুন করে নিয়োগ দিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *