ফারুক খান তুহিন
প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৯ ২১:৫৪:৪৮ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৯ ২১:৫৫:০৪
বান্দরবান অফিস, বীর কন্ঠ : বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুরো বান্দরবান জেলায় এখন লকডাউন অবস্থা বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে মানুষজনের চলাচল নেই। দোকান-পাটও বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনরা (পাগল) খাবার কোথায় থেকে পাবে? লোকজন খাবার না দিলে তো পাগলদের থাকতে হবে উপোস! কিন্তু যাদের মনুষত্ব আছে তারা অভুক্ত পাগলদের মুখে খাবার তুলে না দিয়ে নিজের মুখে কখনো খাবার নিতে পারেননা।
তাইতো বান্দরবানের ৫ তরুণ অভুক্ত পাগলদের খুঁজে খুঁজে তাদের মুখে আহারের লোকমা তুলে দিচ্ছেন। যখন খাবার পেয়ে উপোস পাগলরা আনন্দচিত্তে চেটেপুটে খায়, তখনই আনন্দে মনটা ভরে উঠে তরুণদের।
মানবতার ফেরিওয়ালা তরুণরা হলেন রিজভী রাহাত, শিমুল দাশ, মবিনুল ইসলাম জিকু, জিয়া উদ্দীন বাবলু ও কাজী আলামিন। তারা বান্দরবান পৌরসভার বাসিন্দা।
রিজভী রাহাতের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের । তিনি বলেন, ২৯ মার্চ (রবিবার) ২য় দিনের মত পাগলদের মুখে খাবার তোলে দিচ্ছি আমরা। পাগলরা কখন কোথায় থাকে কোন হিসেব থাকেনা। তাই খবর নিয়ে খুঁজে খুঁজে খাবার দিতে হয়। সকাল, দুপুর ও রাতে তিনবেলা খাবার বিতরণ করছি।
পাগলদের খাবার বিতরণের প্লান কিভাবে মাথায় আসল জানতে চাওয়া হলে উদ্যোক্তাদের সর্ব কনিষ্ঠ রাহাত বলেন, দোকান-পাট খোলা থাকলে পাগলরা খাবার পায়। কিন্তু সংকটকালে তারা কোথাও খাবার পাচ্ছেনা। অনেক পাগল কথাও বলতে পারেনা। খাবারও চাইতেও জানেনা। তাই পাগলদের রান্না করা খাবার বিতরণের এই প্লানটি মাথায় আসে আমাদের।
রাত সাড়ে আটটার দিকে খাবার বিতরণ কাজে বের হওয়ার সময় তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে পাগলদের মুখে তোলে দিচ্ছি। সকলের প্রতি আমার বিনীত আহ্বান সামর্থ্য অনুযায়ী সকলে একে অন্যের পাশে এসে দাঁড়ান।