চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Faruque Khan Executive Editor

রাঙ্গুনিয়ায় দুই ভুয়া পুলিশকে ধরে থানায় দিল জনতা

প্রকাশ: ২০২০-০৩-৩০ ২০:৪৮:২৬ || আপডেট: ২০২০-০৩-৩০ ২০:৪৮:৩১

আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রিজের মাংস চেক করতে যাওয়া দুই ভুয়া পুলিশকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা। সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব খিলমোগল মাইজ পাড়া এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। হোছনাবাদের মাইজপাড়া এলাকায় একটি মুদির দোকান বন্ধ করতে গেলে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পারুয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড ঘাটকুল এলাকার মো. হারুনের ছেলে আরাফাতুল ইসলাম (১৮) এবং চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের চারাবটতল এলাকার মো. ইদ্রিছ সওদাগরের ছেলে আব্দুর রহিম (২৬)। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে পুলিশ জানায়। মিজানুর রহমান নামে প্রতক্ষদর্শী বলেন, “এরা দুইজন প্রথমে হোছনাবাদ ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড নলুয়ার পাড়ায় গিয়ে ৪ জনের বাড়িতে ঢুকে ফ্রিজ চেক করে মাংস ফেলে দেয়। এরপর একই এলাকার দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়। সেখান থেকে ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার একটি মুদির দোকান বন্ধ করতে আসলে আমাদের সন্দেহ হয়। তাদের হাতে ছিল সেনাবাহিনী লেখা সেলাইকৃত একটা খাতা ও কিছু কাগজ। তারা একটি কার্ড দেখায়, যেখানে লেখা ছিল “ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ আরফাতুল ইসলাম, বাংলাদশ সি.আই.ডি পুলিশ, সাব ইন্সপেক্টর”। এরপর সবাই মিলে চ্যালেঞ্জ করলে একপর্যায়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে তারা ভুয়া পুলিশ বলে স্বীকার করতে বাধ্য হয়।”

হোছনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “খবর পেয়ে তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।” রাঙ্গুনিয়া থানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন বলেন, “স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ সদস্য পরিচয় দেওয়া দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।” উল্লেখ্য রাঙ্গুনিয়ায় করোনা আতঙ্কের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্নজন বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছেন। তেমনি একটি গুজব হচ্ছে ফ্রিজ ভাঙা। সেখানে বলা হচ্ছে করোনার কারণে ফ্রিজে কাঁচা মাছ, মাংস রাখলে বাড়ি গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফ্রিজ ভেঙ্গে দিচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বাড়ির গৃহিণীদের মধ্যেও আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে এগুলো গুজব বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *