চট্টগ্রাম, , শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কাইছার হামিদ

ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ না!

প্রকাশ: ২০২০-০৪-০৭ ২৩:২২:৫৭ || আপডেট: ২০২০-০৪-০৭ ২৩:২৩:০১

কাইছার হামিদ|

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস। আমাদের দেশে মোট ১৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।আজ পর্যন্ত মারা গেলো ১৭ জন। চারদিকে হয়ে গেছে লক ডাউন। নিন্ম ও মধ্য আয়ের মানুষরা পড়েছে বিপাকে।

আমরা বাঙালি। জন্মগতভাবে আমরা কোমল হৃদয়ের অধিকারী। বার্মা সরকার যখন রোহিঙ্গাদের নির্যাতন চালচ্ছে। তখন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার। যা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত। সারা দেশ থেকে ট্রাকে ট্রাকে ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ পৌছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

করোনাভাইরাসে মানুষ গৃহবন্দী। এমন সময়েও সামর্থ্যবানরা ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করছেন। প্রত্যেক উদ্যোগক্তাকে স্বাগত জানাই।

করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস।
ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বা সাহায্য করতে গিয়ে সোশ্যাল ডিসটেন্স-এর যে ব্যাপারটা সেটা যেমন প্রতিপালন করা হচ্ছে না এবং এতে করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে- যেহেতু এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। সে জায়গায় আপনার ত্রাণ বা আপনি যা দান করতে চান সেটা মেট্রোপলিটন এলাকা হলে আপনার এলাকার মেয়র বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের হাতে সোপর্দ করুন।

দরকার হলে আপনি সে মুহূর্তের ছবি তুলুন বা ভিডিও করুন, রেকর্ড রাখুন যে আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। কিন্তু দয়া করে নিজে বিতরণ করতে যাবেন না, বিতরণটা সংশ্লিষ্টদের করতে দিন। আর আপনি যদি মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে থাকেন সেক্ষেত্রে ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট আপনার ত্রাণ বা সাহায্য সোপর্দ করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের কেউ থাকলে তার তালিকাও দিয়ে দিন।

এক্ষেত্রেও আপনি ছবি তুলে রাখুন বা ভিডিও করুন, রেকর্ড রাখুন যে আপনি সংশ্লিষ্টের কাছে ত্রাণ সামগ্রী বা সাহায্য সোপর্দ করছেন।

কিন্তু আপনি নিজে বিতরণ করতে যাবেন না, কারণ এক মুহূর্তে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে বিতরণের সক্ষমতা আপনার নেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে বিতরণ করার মতো পর্যাপ্ত সক্ষম কর্মীবাহিনী আপনার নেই। সরকারের জনপ্রতিনিধি আছে, সরকারি কর্মকর্তা আছে, পুলিশ আছে, আনসার আছে, সেনাবাহিনী আছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, ডাক্তার আছে, স্বাস্থ্যসেবী আছে এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মী বাহিনী আছে।  
তাই আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, আপনারা ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিপদ বাড়াবেন না।

আপনাদের সাহায্যের প্রয়োজন আছে, আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। আপনাদের বিশাল হৃদয়- একে আমরা অভিবাদন জানাই, ধন্যবাদ জানাই, স্যালুট করি।  

কিন্তু আসুন মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণের কাজটা বা সাহায্য করার কাজটা একটু সুশৃংখলভাবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা করি।

ঘরে থাকুন। নিরাপদে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *