চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এডমিন বীর কন্ঠ

সৈকত বালকদের প্রতি সায়মন বিচ রিসোর্টের এমডি রুহেলের ভালোবাসা

প্রকাশ: ২০২০-০৪-১৮ ২০:২৯:৫৭ || আপডেট: ২০২০-০৪-১৮ ২০:৩০:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বীর কন্ঠ : করোনার থাবায় প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজার পর্যটক শুন্য। ক্ষতির মুখে হোটেল মালিকরা। সারা বছর সৈকতে ফটোগ্রাফি করে, জলযান চালিয়ে, পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে, সার্ফিং করে স্থানীয় অনেক ছেলে জীবিকা নির্বাহ করে। পর্যটক না থাকায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসব কর্মহীন ছেলেদের ভুলেননি কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল সায়মন বীচ রিসোর্টের এমডি মাহবুব রহমান রুহেল। যদিও সারাবছর মুখরিত থাকা এই হোটেল প্রচুর আর্থিক সম্মুখীন হয়েছে করোনার কারণে।

বেকার হয়ে পড়া সৈকত নির্ভর কর্মজীবী ছেলেগুলোর পরিবারে গত ১৫ এপ্রিল প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয় মানবিক উদ্যোক্তা মাহবুব রহমান রুহেলের পক্ষ হতে। হোটেলের আশেপাশে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝেও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। জানা যায়, যতদিন করোনার এই পরিস্থিত উত্তরণ হচ্ছে না ততদিন সায়মন বিচ রিসোর্টের এমডি মাহবুব রহমান রুহেলের মানবিক এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এই সহায়তা পাওয়া এক বীচ বালক জানায়, করোনার ডরে দইজ্জার কূলুত ঢেউ গুণন ছারা এহন হন হাম নাই। এই সমত সায়মনের মালিক রহমান সাব’র উপহার আঁরার লাই মেওলা ছারা জড়। পর্যটক না থাকায় হোটেল রেস্তোরা সব বন্ধ। এর ফলে অনাহারে মরতে বসছে সৃষ্টির অবলা জীব পথের কুকুরগুলো। ক্ষুধার্ত কুকুরদের মাঝেও রুহেলের পক্ষ থেকে নিয়মিত খাবার দিচ্ছেন সায়মন বিচ রিসোর্টের জিএম পুবুদু ফার্নান্দো। স্থানীয় বিচ বালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বালকদের কাছে তিনি খুব প্রিয়। সার্ফিং করতে নেমে সাধারণ ছেলেদের সঙ্গে সাধারণ সার্ফারের মত মিশেন। বছর কয়েক আগে সৈকতে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করা বালক জাহিদকে সায়মন বিচ রিসোর্টে চাকরি দেন তিনি, তাকে স্কুলেও ভর্তি করান। কক্সবাজারে প্রায় ৩০০ হোটেল মোটেল ৩০টির মত অভিজাত হোটেল আছে। এই সময় মানুষ মানুষের পাশে না দাঁড়ালে কবে দাঁড়াবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *